‘বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের এনসিপিতে স্বাগতম’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ০৬, ২০২৫

বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) স্বাগতম জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। বুধবার রাতে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম (মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ) জেলা এনসিপির দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

 

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যারা বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন, তারা যদি আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চান তাদের এনসিপিতে স্বাগতম। এনসিপি জোটে বিশ্বাসী নয়, আমরা নির্বাচনে সিট পুনর্বণ্টনে নয়, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিশ্বাসী। এনসিপি যেই অবস্থান নেয়, বিএনপি-জামায়াত সেখানে আসতে বাধ্য হয়।”

 

তিনি আরও বলেন, “দলীয় কোন্দলে গুলি খেতে না চাইলে আপনারা এনসিপির রাজনীতি করবেন। অস্ত্রের রাজনীতি, চাঁদাবাজির রাজনীতিতে মানুষ অতিষ্ঠ। আগামীর ভোট হবে মাফিয়া, চাঁদাবাজ ও বুলেটের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে ব্যালটের চেয়ে বুলেট শক্তিশালী হয়েছে। যারা ব্যালটের চেয়ে বুলেটকে শক্তিশালী করেছে তাদের বিচার হবে।”

 

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “এই সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রজেক্ট হলো স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। তিনি না বুঝেন স্বাস্থ্য, উনি বুঝেন কেবল কোন জেলা থেকে কিস্তি নেবে, মেডিসিন বিক্রি করলে কত লাভ। তার ব্যর্থতার দায় আমাদের সারাজীবন টানতে হবে। খুলনায় জুলাই যোদ্ধার চোখ হারানোর দায় এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার।”

 

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে হাসনাত বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের পাওয়া মিটিয়ে দিতে উপদেষ্টা নানা প্রটোকল দেখাচ্ছেন। পাওনা শিগগিরই মিটিয়ে দেওয়া না হলে প্রটোকলে থাকা দামি গাড়ির কালো গ্লাসের ভেতর থেকে টেনে বের করে তা আদায় করা হবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “এনসিপির চট্টগ্রাম নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোরাম দেখেছি। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে কোরাম বাদ দিতে হবে। একা সফল হতে চাইলে পতন নিশ্চিত, আর সারভাইব করতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মাইম্যান পলিটিক্স বাদ দিতে হবে। মাইম্যন দিয়ে যদি রাজনীতি হতো, তাহলে হাসিনার কখনো পতন হতো না।”

 

এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম সুজা উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসান আলী, উত্তর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সাগুপ্তা বুশরা মিশমা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠন জুবাইরুল হাসান আরিফ, ইমন সৈয়দ, কেন্দ্রীয় সদস্য জুবাইরুল হাসান মানিক, জাওয়াদুল করিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।