ভূমিকম্পের কারণে ঢাবি বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ছে শিক্ষার্থীরা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ২৩, ২০২৫
শুক্র ও শনিবারের ভূমিকম্পের পর নিরাপত্তা উদ্বেগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে, ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে আজ রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বের হচ্ছে।
আজ সকালে দেখা গেছে, মেয়েদের হল থেকে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ছেলেদের হল থেকেও শিক্ষার্থীরা বের হচ্ছে। তবে অনেকে এখনো দ্বিধায় রয়েছে।
কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগ, হঠাৎ করেই হল ছাড়ার নির্দেশে তারা সমস্যায় পড়েছে। কারণ টিউশন, চাকরি ও অন্যান্য দায়িত্ব রয়েছে।
শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেউ বলছে, বাধ্যতামূলক হল ত্যাগের নির্দেশ দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। আবার কেউ মনে করছে, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কর্মচারীদের ভবন দখলে নিয়েছিল। প্রশাসন সম্ভবত সেই কারণে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অনেক শিক্ষার্থী প্রশাসনের পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ হলে থাকা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করে। তাই বাইরে থাকা নিরাপদ।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। শনিবার ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। গতরাতে আতঙ্কিত হয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা বাইরে বের হয়েছিল। ওই সময় কয়েকজন ছাত্রী প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়।
গতরাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল ৩ দফা দাবিতে। তারা চেয়েছিল, বাধ্যতামূলক হল বন্ধের ঘোষণা স্থগিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করা, এবং শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা টাওয়ারে স্থানান্তর করা। তবে আজ সকালে তারা সেখানে উপস্থিত ছিল না।
























