লটারিতে চূড়ান্ত হলো ৬৪ জেলার এসপি

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৫, ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য লটারির মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) চূড়ান্ত করেছে সরকার। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’য় এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এবার প্রথমবারের মতো ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে এসপি নির্ধারণ করা হলো।

 

লটারির আগে কয়েক দফা যাচাই-বাছাই করা হয়। যারা অতীতে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৬ ও ২৭তম ব্যাচসহ উপযুক্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘ফিট লিস্ট’ তৈরি করা হয়। সেই তালিকা থেকেই লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচন করা হয়।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ৬৪ জেলার এসপির মধ্যে ১৫ জনকে সরিয়ে নতুন ১৫ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৪৯ জনকে বর্তমান জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি করা হবে। নতুন ও পুরোনো এই ৬৪ কর্মকর্তাকে নিয়েই চূড়ান্ত লটারি সম্পন্ন হয়।

 

এ বিষয়ে দু’এক দিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

 

কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আইজিপি বাহারুল আলম।

 

সূত্র জানায়, ৬৪ জেলার মধ্যে নির্বাচন পরিস্থিতি অনুযায়ী জেলাগুলোকে এ, বি ও সি ৩ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ২৭টি জেলা এ ক্যাটাগরি, ২৮টি জেলা বি ও বাকিগুলো সি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। প্রতিটি শ্রেণির জন্য পৃথকভাবে লটারির মাধ্যমে এসপি নির্ধারণ করা হয়।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, লটারিতে নির্বাচিত এসপিদের দ্রুতই সংশ্লিষ্ট জেলায় পদায়ন করা হবে। এই কর্মকর্তারাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠস্তরের আইন-শৃঙ্খলা দায়িত্বে থাকবে।