![](https://www.chharpatra.com/media/imgAll/2020May/L20240328132709.jpg)
শেরপুরের গজনিতে ভাস্কর শামীম শিকদার স্মরণে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন
মো. ইমরান হোসেনপ্রকাশিত : মার্চ ২৭, ২০২৪
ভাস্কর শামীম শিকদার একুশে মার্চ ২০২৩ ইউনাইটেড হাসপাতালের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তারই প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভাস্কর্য গ্যালারির আয়োজনে শেরপুর জেলায় শিল্পীর প্রিয় স্থান গজনিতে আর্ট ক্যাম্পে আয়োজন করা হয়।
শেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান গজনীতে ২৪ ও ২৫ মার্চ ২০২৪ আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। উক্ত আর্ট ক্যাম্পের অংশগ্রহণ করেন বিশ্ব বরেণ্য শিল্পী ও ভাস্কর অধ্যাপক শামীম শিকদারের প্রিয় জাতীয় ভাস্কর্য গ্যালারির ১১ জন শিল্পী ।
শামীম শিকদার মৃত্যুর পূর্বে গারো জনগোষ্ঠীর সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাই তার স্মৃতি বিজড়িত এরিয়াতে আর্ট ক্যাম্পে শিল্পীরা গারো পাহাড়ের জীবন যাপন ও নৈসর্গিক দৃশ্য রং তুলির নান্দনিক ছোঁয়ায় তুলে ধরেন।
আর্ট ক্যাম্প শেষে ছবিগুলোকে নিয়ে একটি মুক্তাঙ্গন শিল্পকর্ম প্রদর্শনী আয়োজন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী ,শেরপুর। প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন শেরপুর জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় জনাব আব্দুল্লাহ আল খায়রুম।
শেরপুর জেলা সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব আতিকুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় প্রদর্শনটি আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় ভাস্কর্য গ্যালারি কিউরেটর মো. ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে শিল্পীরা গজনি আসেন এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী ছবি আঁকেন।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীর হলেন: শিল্পী কাজী মোজাম্মেল হোসেন, শিল্পী কুয়াসা বিন্দু, শিল্পী নজমুল হক, শিল্পী নিপা গোমেজ, শিল্পী শেখ সোহানা ইসলাম, শিল্পী সজীব চন্দ্র ঘোষ, শিল্পী সুবর্ণা বড়ুয়া, শিল্পী হিউবার্ড ফলিও, শিল্পী শাহানেওয়াজ পারভেজ অনিক, শিল্পী নূরে আলম সিদ্দিক ও শিল্পী রাকিব মুক্তাদির।
২৬ মার্চ ২০২৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমি শেরপুর শিল্পকর্ম প্রদর্শনীটি একদিনব্যাপী চলে। প্রদর্শনীটি সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকে। মুক্তাঙ্গন শিল্পকর্ম প্রদর্শনী হওয়ায় শেরপুর জেলার শিল্প পিপাসু মানুষেরা প্রদর্শনীতে ভিড় জমায়।
জেলা প্রশাসক বলেন, “শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে এমন ভিন্ন একটি আয়োজন শেরপুর জেলায় প্রথম হয়েছে। তাই আমি এর অংশ হতে পেরে গর্ববোধ করছি।”
জেলা সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন, “জাতীয় ভাস্কর্য গ্যালারির এমন ভিন্ন ধারার একটি আয়োজনের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। আমরা আশা করব শেরপুর জেলাতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড আরো হোক।"