সজীব দে

সজীব দে

সজীব দে’র ৪ কবিতা

প্রকাশিত : আগস্ট ১৫, ২০২০

ভালো লাগে না

ভালো লাগে না প্রেম, না ভালবাসা, না শরীর উৎসব
অথচ তুমি আমি পাশাপাশি
তোমাকে ছুঁতে পারি
তবে ছুঁই না
তোমার খোলা চুলে
মুখ লুকাতে পারি
তবে লুকাই না
ভালো লাগে বিরাট পৃথিবীতে পান করি
স্ট্রবেরি ফ্লেভারের শূন্যতা
আর অল্প সুরায় হার্ড রক
এবং
আমাদের প্রতিদিনের চুপচাপ দীর্ঘ আলাপ
বৃষ্টির ঘ্রাণে
তখন আমরা ব্রেশল্টের মঞ্চে মুখোমুখি।
তিনি আমাদের দেখে হাসছেন।

কারিশমাকে আধাআধি চিনি

অন্তত কারিশমাকে আধাআধি চিনি
চেনার ভেতর আংশিক জল
আর এক কাপ বিষ
সাথে মধু
তারপর নিয়ে এলো মগ ভর্তি কফি।
ধরো, এসব সে আমার সামনে রাখল।
এবং কারিশমা আমার হাতে বিষের কাপ তুলে দিল।
আমি পান করলাম।
কিন্তু ব্যাপারটা ঘটলো যা আমি বা তুমি বা সে কারও স্মৃতিতে সে রেখে দিল
অদ্ভুত এক অজগর
যেহেতু কারিশমাকে আধাআধি চিনি সেহেতু অজগরটি মায়া হয়ে রইল আমাদের মাঝে।
যেহেতু এ চেনা মায়া
তাই বিষ পান করে আমি মাতাল হয়ে ক্রিস ডি বার্গের লেডি ইন রেডের কনসার্টে
দর্শক হয়ে বিভাজিত হয়ে হলুদ প্রজাপতি হয়ে উড়ে যাই গাঙপাড়ে।
সেখানে বসে আছে যার হাতে আমার মৃত্যুর কবিতা।
যখন সে কবিতাটি পড়তে শুরু করল ক্রমে ক্রমে আমি নিস্তেজ হতে শুরু করি
এবং মরে যাই।
শেহজাদি বলে, তুমি জানতে আমি কে?
তুমিতো বলেছিলে, আমি মারিয়া শারাপোভা।
কিন্তু না, আমি করুণ শীত।

পোস্টমর্ডানিস্ট লাভার

সে একটা ব্রেক চায়
আমি কিছু বলি না
সে থাকুক শান্তিতে
নিজের মতো করে
আমার মাথা চুপ হয়ে যায়
মনকে কাগজের পাখি বানিয়ে নদী আর আকাশে ওড়াবো।

ভাবি, এমন দিন আমারও চাই একা একা ব্রেকিং ব্যাড দেখে দেখে
চোখ শুকাবো স্ক্রীনে অথচ আমি নীরবতা খুঁজতে দেখি, জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে আছি।
আজ রাতে আকাশ আর চাঁদের সঙ্গমে মৌনতা নেব
হে, বোধি আমাকে কি কখনও দেখেছো তোমাদের রঙ্গালয়ে সঁপেছি নিউরণের চমৎকার রেস
একেকজন ছেড়ে যাচ্ছে আবার মিলে যাচ্ছে নিজেদের জিহ্বায়, যোনিতে আর হাওয়ার মুঠোয়।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি একজন পোস্টমর্ডানিস্ট লাভার!

প্রতি বিনয়

তুমি ফুল হইলেও আমি ভ্রমর হমু না
এতসব কিচ্ছা জন্ম হয় মগজে
আর আকাশে উড়াইয়া ফুটন্ত শরীর
দেরিদারে চুদে দিই
যেমন গায়ত্রীর চোদনে বোকাচোদা বিনয়
ভুট্টা সিরিজ লেখে কামরে অবদমন কইরা
আর বিজ্ঞ সমালোচকগণ কহেন, সন্ত, সমাহিত।
বিনয় দেখে আকাশের কালো মেঘ।
ওহে বিনয় মজুমদার
বিরহের কাঁটার মালা গলায় ঝুলাইয়া
পয়গম্বর হইয়া কি ফায়দা লুটাইলা!