‘সুকেশ আমার জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছিল’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৯, ২০২৩

সুকেশ চন্দ্রশেখর আমার জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। বুধবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে দুশো কোটি রুপি তছরুপের মামলায় হাজিরা দিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

 

জ্যাকুলিন বলেন, ‘সুকেশ চন্দ্রশেখর আমার জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছিল। আমার ইমোশন নিয়ে খেলছিল। সুকেশ ও পিঙ্কি ইরানি একসঙ্গে আমাকে ঠকিয়েছে। পরে জানতে পারি, শেখরের আসল নাম সুকেশ। তখনই জানতে পারি, ওর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা।”

 

তিনি আরও বলেন, “পিঙ্কি এর সব কিছুই জানত। কিন্তু কখনোই আমাকে বলেনি। সুকেশ আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। সে আমার জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।”

 

জ্যাকুলিন বলেন, “শুরুতে আমার কাছে চন্দ্রশেখর নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। আমাদের মধ্যে কথা শুরু হয়েছিল পিঙ্কি ইরানির মাধ্যমে। আমার মেকআপ আর্টিস্ট শান মুথাথিলের মাধ্যমে পিঙ্কি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।”

 

তিনি আরও বলেন, “পিঙ্কিও আমাকে জানান, সুকেশ চন্দ্রশেখর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর সুকেশ নিজের পরিচয়ে বলেন, তিনি সান টিভির মালিক ও জয়ললিতা তার আন্টি। সে নাকি আমার বড় ফ্যান।”

 

জ্যাকুলিন বলেন, “সুকেশ আমাকে পরামর্শ দেন, আমার দক্ষিণ ভারতেও সিনেমা করা উচিত। সান টিভির মালিক হিসেবে সে বলে, তাদের অনেক কাজ শিডিউল করা আছে। সেখানে একসঙ্গে কাজ করা যাবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “দিনে তিনবার আমরা ফোনে ও ভিডিও কলে কথা বলতাম। সুকেশ কখনই জেলে থাকার বিষয়টি জানায়নি। একটা কর্ণার থেকেই তিনি ভিডিও কল করতেন। সেখানে একটা সোফা রাখা ছিল আর পিছনে ছিল পর্দা।”

 

জ্যাকুলিন বলেন, “এমনকি সুকেশের কথা অনুযায়ী, দিল্লির এক লেখকের থেকে চিত্রনাট্য শুনে কাজ করতেও চেয়েছিলাম। ২০২১ সালের ৮ অগস্টের পর সুকেশ আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এরপরই জানতে পারি, নিজেকে সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কারণেই সে গ্রেফতার হয়।” সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে