সুদানে আরএসএফের হামলায় ১৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
সুদানের কর্দোফান অঞ্চলের একটি অবরুদ্ধ শহরে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কামান হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। সুদানের গৃহযুদ্ধের তৃতীয় বছরে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে।
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্কের তথ্য অনুসারে, আরএসএফ ও তাদের মিত্র সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ দুই দিন ধরে দক্ষিণ কর্ডোফানের ডিলিংয়ের আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে।
নিহতদের মধ্যে নারী, বয়স্ক বাসিন্দা ও শিশুরাও ছিল। ডক্টরস নেটওয়ার্ক এটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
গ্রুপটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন উভয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অবিলম্বে বেসামরিক এলাকায় হামলা বন্ধ করতে এবং যুদ্ধে আটকে পড়া মানুষদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে চাপ দেয়।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ থাকা শহরে কলেরা ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবের কারণে এরই মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বোমা হামলা চাপ আরও বাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুসারে, অক্টোবরের শেষদিকে যখন আরএসএফ একটি প্রধান সেনা ঘাঁটি দখল করে এবং এই অঞ্চলে হামলা জোরদার করে, তখন থেকে কর্ডোফানের ৩টি রাজ্যজুড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ সহিংসতার কারণে পালিয়ে গেছে।
এই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র ডিলিং শহর থেকে প্রায় ৭১০ মানুস বাস্তুচ্যুত হয়। তাদের অনেকেই জাতিসংঘের শরণার্থী কর্মকর্তাদের কাছে অকথ্য ভয়াবহতার প্রত্যক্ষ করার কথা জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক এই মাসের শুরুতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, দারফুরে, বিশেষ করে আল-ফাশারে সম্প্রতি ব্যাপক নৃশংসতার পর কর্দোফানেও একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
১৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কর্ডোফানের রাজধানী কাদুগলিতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এটিকে যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে বলে সতর্ক করে।
























