সুদানে স্কুলে ড্রোন হামলা, ৪৬ শিশুসহ নিহত ১১৪

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫

সুদানের দক্ষিণ কর্দোফান প্রদেশের সাউথ করদোফান রাজ্যের কালোগিতে বৃহস্পতিবার একটি কিন্ডারগার্টেনসহ একাধিক স্থানে আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় ৪৬ শিশুসহ ১১৪ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হয়েছে।

 

কালোগির নির্বাহী পরিচালক অন্তত ৭১ জন নিহত হওয়ার খবর জানান।

 

এর আগে শুক্রবার দিনের শেষে সুদানের চিকিৎসকদের জোট সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক বিবৃতিতে জানায়, ঘটনাস্থলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা হয়েছে।

 

দক্ষিণ কর্দোফান রাজ্য সরকার বিবৃতিতে জানায়, বৃহস্পতিবার পশ্চিম সুদানের কালোগি শহরে হামলা হয়। নিহতদের মধ্যে ৪ নারী রয়েছে।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আরএসএফের ড্রোন থেকে ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যা একটি কিন্ডারগার্টেন (শিশু বিদ্যালয়), একটি হাসপাতাল এবং শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে।

 

রাজ্য সরকার এই ঘটনাকে আরএসএফ-সমর্থিত সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ দ্বারা সংঘটিত জঘন্য অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে।

 

প্রথমদিকে রাজ্য সরকার জানায়, হামলায় ৬ শিশু ও এক শিক্ষকসহ ৮ জন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯ জনে পৌঁছায়।

 

দক্ষিণ কর্দোফান রাজ্য সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এসব সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আরএসএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং তাদের মিত্রদের এই অমানবিক অপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

 

এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। বিবৃতিতে হামলাটিকে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

 

ইউনিসেফ জানায়, নিহতদের মধ্যে ৫ থেকে ৭ বছর বয়সি ১০ জনেরও বেশি শিশু রয়েছে।

 

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে শুরু হওয়া এই গৃহযুদ্ধ এরই মধ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৪০ হাজার মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। সূত্র: আল জাজিরা