হাসপাতাল ছেড়েই মিঠুন বললেন, ‘মোদিকে খুব শ্রদ্ধা করি’
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
দিন দুয়েক হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থেকে সোমবার দুপুরে ছাড়া পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বেরিয়েই সাংবাদিকদের তিনি বললেন, ‘নরেন্দ্র মোদিকে খুব শ্রদ্ধা করি আমি।”
সাফ জানিয়ে দিলেন, মিঠুন বলেন, “লোকসভা ভোটে আমি প্রার্থী হচ্ছি না। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মতোই এবার চব্বিশের লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রচারণায় অংশ নেব। নরেন্দ্র মোদিকে খুব শ্রদ্ধা করি আমি।”
তিনি আরও বলেন, “১ মার্চ থেকে লাগাতার প্রচার শুরু করব। একাধারে বাংলায় প্রচারের পাশাপাশি অন্য কোনো রাজ্যে যদি যেতে হয়, তাহলেও যাব।”
সন্দশখালিতে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, “ও খুব শক্তিশালী নেতা। ওকে আটকে কোনো লাভ নেই। ঠিক বেরিয়ে যাবে।”
সোমবার হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময়ে মিঠুনের পাশে ছিলেন তার ছেলে মিমো ওরফে মহাক্ষয় চক্রবর্তীকে। মিঠুন বলেন, “হাসপাতালে আমাকে দেখতে এসেছিলেন দেব। দেব খুব ভালো ছেলে। অত্যন্ত বুদ্ধিমান।”
এর আগে শনিবার মিঠুনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিনোদন দুনিয়া থেকে রাজনৈতিকমহল উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। দুদিনে তাকে দেখতে ছুটে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ ও বিধায়করাও।
এই তালিকায় যেমন দেবশ্রী রায়, দেব, সোহম চক্রবর্তীরা রয়েছেন, তেমনই সুজিত বসুকেও দেখা গিয়েছে উদ্বিগ্ন মুখে হাসপাতাল থেকে বেরোতে। রোববার ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দিল্লিতে অধিবেশন সেরেই রোববার কলকাতায় পা রেখে মিঠুনকে দেখতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে মিঠুনের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ খোশমেজাজে আড্ডাও দেন।
জয়পুর থেকেই শুটিংয়ের ফাঁকে খোঁজ নিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষও। মিঠুনকে দেখতে সোমবার সাত সকালে গেলেন দিলীপ ঘোষও। দ্রুত আরোগ্য কামনা করে মহাগুরুকে হাসপাতালে দেখতে ছুটেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীও।
একসময়ে বামপন্থি রমলার হয়েও ভোট প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। কয়েক দশক ধরেই তাদের পারিবারিক সখ্য রয়েছে। সেই টানেই মিঠুনের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন রমলা চক্রবর্তী।
একসময়ে তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেছেন মিঠুন, তবে একুশের বিধানসভা ভোটেই সেই সমীকরণ বদলে যায়। বাম-তৃণমূলের হয়ে প্রচারের পর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি।