কথাসাহিত্যিক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ মৃত্যুদিন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

কথাসাহিত্যিক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ মৃত্যুদিন। ১৯৩৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ১৮৭৭ সালের ১১ অক্টোবর অবিভক্ত বাংলার মালদহের চাঁচলে তার জন্ম।

তাদের আদি বাসস্থান ছিল বর্তমান বাংলাদেশের যশোরে। বাবা গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মা মুক্তকেশী দেবী। চারুচন্দ্র ১৮৯৫ সালে বলাগড় হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৮৯৬ সালে জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে এফএ এবং ১৮৯৯ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।

১৮৯৬ সালে দুমকা নিবাসী রাধারাণী দেবীকে বিয়ে করেন কিন্তু বিয়ের ৪ বছর পরেই ১৯০০ সালে রাধারাণীর মৃত্যু হলে তিনি পদ্মাবতী দেবীর সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। অধ্যাপক কনক বন্দ্যোপাধ্যায় এদের সন্তান।

১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে যোগদানের জন্য তিনি ১৯২৪ সালে ঢাকা চলে আসেন। ১৯২৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সাম্মানিক এমএ উপাধি লাভ করেন।

ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য লেখকদের মধ্যে ইন্দিরা দেবী, অনুরূপা দেবী, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, রাজশেখর বসু এবং অন্যান্যদের সঙ্গে চারুচন্দ্রের নামও করতে হয়। তিনি `ভারতী` পত্রিকার সম্পাদক এবং `প্রবাসী`র সহ-সম্পাদক ছিলেন।

তার প্রথম ছোটগল্প ‘মরমের কথা’ প্রবাসীতেই প্রকাশিত হয়। ‘স্রোতের ফুল’, ‘পরগাছা’ প্রভৃতি তার রচিত ২৫টি উপন্যাসের অন্যতম। ছোটদের জন্যও তিনি লিখেছেন, বেশ কয়েকটি গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করেছেন ছোটদের উপযোগী করে। তবে তিনি সমধিক পরিচিত তার রবীন্দ্র-গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘রবি-রশ্মি’র জন্য।

বাংলা ভাষার উপর তার যথেষ্ট দখল ছিল। সেকালের বহু রচনাতেই যেমন পরাধীন দেশে বিদেশি শাসকদের অবহেলা ও অত্যাচার থেকে উদ্ভুত যন্ত্রণার উল্লেখ রয়েছে।