ঋত্বিক ঘটকের গল্প ‘কমরেড’

রাত। দিউনাসাসেসর মন্দিরের অদূরে নগরের নির্জন প্রান্তে বসে সস্ত্রাতাস ও জোকাস্তা গল্প করছিল। আকাশে মাঝে মধ্যেই বজ্রপাতের শব্দ, ঝড় আসবার আশঙ্কা।

একদিন যখন সমুদ্রের পাড়ে পশু চড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা জাহাজ এসে ভিড়লো সেখানে। কয়েকজন নাবিক জাহাজ থেকে নেমে এসে সমুদ্রের পাড়ে ঝিনুক কুড়াতে শুরু করলো। সারাদিন তারা ঝিনুক কুড়ালো এবং সন্ধ্যায় তারা ফিরে গেল।

হান ক্রানমার, আমি আপনাকে আমার এক আবিষ্কারের কথা বলতে এসেছি। পৃথিবীতে এর আগে কেউ তা আবিষ্কার করেছে কিনা আমি জানি না।

রাজা হলোফারনেস এখন জেকোনেত্তার শয্যাসঙ্গী। একদিন থিউসের যে উগ্র খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা জয়ী হয়েছিলাম, সেই লোকগুলোই এখন আবার আমাদের শাসন করবে।

লোকটার চাহনি বড়বাড়ির বড়বউয়ের প্রথম থেকেই ভালো লাগেনি। কী রকম যেন উগ্র চাহনি। আর কোমর পর্যন্ত ময়লা লুঙ্গিটা অত্যন্তই ছোট। চেহারাটা বুনো বুনো। কিন্তু বামুন ঠাকুর বলল, ভাত খাবে কাজ করবে।

আপনারা হচ্ছেন সেই সকল মানুষ, প্রয়োজনে যারা মানুষের পায়ে লুটিয়ে পড়তে দ্বিধা করেন না। আর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে নিজের স্বার্থমতো নিরীহ মানুষের বুকেও ছুরি বসিয়ে দেন। পশুর মতো পেছন থেকে আঘাত করে ও আমার স্বামীকে হত্যা করেছে

মুন্সী আমাগো মতো চ্যাংরা পোলাপাইনদের লইয়া একটা গোপন মিটিং করলেন। মিটিংয়ের সারমর্ম মোটামুটি এইরকম, মুন্সী হাজাম লইয়া জব্বার মিঞার কাচারিতে অপেক্ষা করবেন। আমরা যেন ধলাইরে যুতমতো ধইরা আটকাই

জেকোনেত্তা সুন্দরী ও সাহসী, এতে কোনোই সন্দেহ নেই। সে চমৎকার বাগ্মীও বটে। যে কোনো পুরুষের জন্যই সে লাভেনীয়। কিন্তু এ কথা সবাই স্বীকার করবে যে, আমি জেকোনেত্তার কাঙ্ক্ষিত পুরুষ হবার যোগ্য নই।