রাজীব জবরজংয়ের ৩ কবিতা

মানুষের মস্তিষ্ক রয়েছে একটা খোলের ভেতরে/রক্তক্ষরণ, স্মৃতি, শিহরণ সবকিছু আছে/যারা মারা যায় তাদেরও সকলই থাকে/মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বানুরাগের মতো/পর্বতের গায়ে এসে ধাক্কা খায় মেঘ ও বাতাস

তোমার জন্য ওদের কান্নায় গর্বে ভরে মন কাউকে জ্বলতে দেখার আনন্দে কাটে সারাক্ষণ

কী বিপুল আনন্দের সমারোহ ও ভাই রে/দাদা-দাদি বাবা ও মা পরদাদা তারও পর/স্বজনে-বিজনে কী কথার কাহিনি রচিত/পলেস্তরা খসে-পড়া চুন- সুরকি আচ্ছাদিত

কোনো কথা বোলো না তুমি রাত গাঢ় হচ্ছে নেকড়েরা শহরের পথে কোনো কথা বোলো না তুমি চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে উষ্ণ রক্ত

এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া/যে সকল মৌমাছি, নেবুফুল গাভির দুধের সাদা হেলেঞ্চা শাকের ক্ষেতে
যে রাখাল আমি আজ কোথাও দেখি না

একটা গাছের সাথে কথা হলো মাঝরাতে—ডেকে সে বলল, অনেক তো হলো! কালরাতে একজন বাণপ্রস্থের লোক, একগাছা দড়ি হাতে এসে, ডালে ঝুলে মরে গেল

বরং তুমি সেই রেস্তোরাঁর কথাই বলো যার ঝাড়বাতিগুলো জেগে ওঠে মাঝরাতে কোনো ভগ্ন বেহালার সুরে— যার আবলুশ রেকাবির পর জেগে থাকে নীলচে নরম নাশপাতি

এই জীবনের পর দ্বিতীয় আরেকটা জীবন দরকার আমাদের প্রথম জীবনে পাওয়া শিক্ষাগুলো কাজে লাগানোর জন্য