শশী আলিওশার ২ কবিতা

এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া/যে সকল মৌমাছি, নেবুফুল গাভির দুধের সাদা হেলেঞ্চা শাকের ক্ষেতে
যে রাখাল আমি আজ কোথাও দেখি না

একটা গাছের সাথে কথা হলো মাঝরাতে—ডেকে সে বলল, অনেক তো হলো! কালরাতে একজন বাণপ্রস্থের লোক, একগাছা দড়ি হাতে এসে, ডালে ঝুলে মরে গেল

বরং তুমি সেই রেস্তোরাঁর কথাই বলো যার ঝাড়বাতিগুলো জেগে ওঠে মাঝরাতে কোনো ভগ্ন বেহালার সুরে— যার আবলুশ রেকাবির পর জেগে থাকে নীলচে নরম নাশপাতি

এই জীবনের পর দ্বিতীয় আরেকটা জীবন দরকার আমাদের প্রথম জীবনে পাওয়া শিক্ষাগুলো কাজে লাগানোর জন্য

সেই থেকে, বুঝলে, আমাকে চেনা যায় না মোটেও। যদিও ঘুরেটুরে এসে ঠিকই, ঠিক তোমারই মতো ঘরে এসে ঢুকি

বর্ষণের অনভিজ্ঞ চিৎকার আসন্ন ঋতুতে বাড়ি ফিরে যাবে। যেন নৈঃশব্দের ব্যাপক রীতি হতে সহসা উদ্ভাসিত বিক্রম— পর্বতের অখণ্ড আবেগ

দাঁড়কাক হয়ে দাঁড়িয়েছি তোমার উঠোনে সভ্যতার হারিকেনে দেখে নাও আলোহীন আমার অবয়ব

লিখলাম আমার আল্লাহ আর রাসূলের কবিতা/লিখলাম যখন সালাত আর সিজদার কবিতা/আমাকে অবাক ফেলে দিলো তারা বাস থেকে/আমাকে তাড়িয়ে দিলো আন্দামান দ্বীপে