নাঈম আল ইসলাম মাহিনের পুথিকাব্য ‘শিশু মোহাম্মদ (স.)

যেন এই আলো রাতের পাহারাদার/যেন এই বায়ু দূর হতে আসিয়াছে/কবিতা হারানো কাঁদো কাঁদো মুখ- এ ছেলেটি তবে কার/ভূতুড়ে আলোয় নদীতীরে বসে আছে?

প্লাস্টিকের একটা-দুটা গাছ সবুজ রঙ করা/পাতার ফাঁকে প্লাস্টিকের ফুল-ফল/মানুষের বারান্দায়, ঘরে, রাস্তায় রাস্তায়

ভাদ্র আশ্বিন/এলে নাচি ধিন ধিন। পালতোল শাদামেঘ আকাশের গায়/কোনদিক থেকে এসে কোনদিকে যায়/নতীতীরে কাশফুল দোল খায় বাতাসে/দেখেশুনে মনে হয়, কবিতার খাতা সে।

নিষ্প্রাণ এই জাতিকে আবার হে মাবুদ, প্রাণবন্ত করো/মুমিনের এই নব জাগরণে সব জড়তার অন্ত করো।

আছমান আইন্ধার কালা মেঘে আইন্ধার পুরা ছহর/এইরম দিনে গাঙ্গের ঘাটে আইলো বাইদ্যার বহর।

জন্মদিন এলে ভাবি, নিজের আত্মাটার ভূত-ভবিষ্যৎ, নদীটার মতো কোনো ফর্দিটা না পাওয়ার পড়ে থাকে বাস্তুচ্যুত কোনো পাগলা-নারী, রুক্ষস্বরে সে বিলাপ করে, তার বলিরেখায় কে রেখেছে উচ্ছন্নে যাওয়াদের জীবনের লিপি-বিন্যাস

পৃথ্বী গ্রহে আগমন মুহূর্ত থেকে সে আমার/অবধারিত কাছের হয়ে থাকে/দুর্লভ সে— ছিঁড়বার নয়, ভাঙবার নয়, হারাবার নয়/ভুলে যাওয়া নয়, ভুল হওয়া নয়

আর বিকালের চায়ের কাপ হাতে বসে আছি, বনঘেঁষা ধানক্ষেতের আলে/ঢালে, সামান্য ঢালুতে হিজল আর কদম গাছের সারি/চোখের সৌন্দর্য মিশ্রিত বাক্য ছুঁড়ে দিচ্ছি ওদিকে