ইউসুফ শাহ চাক

ইউসুফ শাহ চাক

আকবরের বিশ্বাসঘাতকতা ও কাশ্মীরের পরাধীনতা

রানা চক্রবর্তী

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৬, ২০২২

১৫৮৫ সালের ডিসেম্বর মাস। তুষারে ঢাকা কাশ্মীরের সীমানায় দাঁড়িয়ে বিরাট সৈন্যবাহিনী। বাহিনীর সার সার অশ্বারোহী, পদাতিক সৈন্যরা তাদের তিন সেনাপতির আদেশের অপেক্ষায়। বাহিনীর শিবিরের সামনে যে পতাকা উড়ছিল, তাতে ছিল তৎকালীন মোঘল সম্রাট জালালউদ্দিন মুহাম্মদ আকবরেরর প্রতীক। খোদ মোঘল সম্রাটের আদেশ ছিল, সেবার মোঘল বাহিনীকে কাশ্মীর জয় করতেই হবে, এবং সেখানকার স্বাধীন শাসক ইউসুফ শাহ চাককে যেভাবে হোক বন্দি করতে হবে। ইউসুফ শাহ চাক আবার যে সে শাসক ছিলেন না, তিনি ছিলেন কাশ্মীরের বিখ্যাত চাক রাজবংশের শাসক, যে চাক বংশ ত্রিশ বছর ধরে কাশ্মীর শাসন করেছিল।

তাদের আগে সুলতান জয়নুল আবেদিন ও শাহমিরি রাজবংশ কাশ্মীরের শাসক ছিলেন। জয়নুল আবেদিন ধর্মে মুসলিম হয়েও কাশ্মীরের হিন্দুদের ওপর থেকে জিজিয়া কর লোপ করেছিলেন, তিনি হিন্দুজের পুজোআচ্চা ও উৎসবেও যোগ দিতেন। ঝিলাম নদীর ওপর প্রথম কাঠের সেতুটি তার আমলেই তৈরি করা হয়েছিল। কাশ্মীরে কারিগর এনে কার্পেট তৈরি, কাগজের মণ্ডের শিল্প, রেশমশিল্প তারই ঐতিহাসিক অবদান। এর অনেক আগে, শাহেনশাহ আকবরের ঠাকুরদা বাবর যখন মধ্য এশিয়া থেকে ভারতে এসেছিলেন, তখন তিনি ও তার সঙ্গীরাও কাশ্মীরের শিল্পীদের দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে বাবরের ভাই মির্জা হায়দার দৌলগত তার আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, সমরখন্দ ও বোখারার কিছু জায়গায় চমৎকার কারিগর দেখা যায়। কিন্তু কাশ্মীরে তারা ঘরে ঘরে রয়েছে।

তবে বাবর বা হুমায়ুন, কেউই কাশ্মীর অধিকার করতে চাননি। কিন্তু পীরপঞ্জাল পর্বতের নিচে অবস্থিত সেই রাজ্যকে আকবর যেভাবে হোক নিজের হস্তগত করতে চেয়েছিলেন। আকবর কাশ্মীরের শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওই স্বাধীন রাজ্যকে নিজের অধিকারে নিতে চাননি। তার কাশ্মীর জয়ের জেদের পিছনে থাকা আসল কারণ অন্য। আসলে সুলতান ইউসুফ শাহ চাক খোদ মোঘল সম্রাটকে অপমান করেছিলেন। আকবর চেয়েছিলেন যে, কাবুল থেকে দক্ষিণে সমুদ্র অবধি শুধুমাত্র মোঘল জয়পতাকা উড়বে, কাশ্মীরও সেই পতাকার আওতা থেকে বাদ যাবে না। সেই কারণে তিনি দুই দুইবার ইউসুফকে নিজের দরবারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ইউসুফ এমনই বদতমিজ ছিলেন যে, তিনি খোদ সম্রাটের তলব পেয়েও তার সামনে হাজির হননি! তার বেয়াদবির উচিত শিক্ষা দিতেই ১৫৮৫ সালের শেষদিকে কাশ্মীরের দোরগোড়ায় মুঘল সৈন্য উপস্থিত হয়েছিল।

ইউসুফ শাহ চাক, কাশ্মীরের প্রকৃত শেষ স্বাধীন শাসক, সেবার বীরের মতো মুঘল সেনাকে প্রতিহত করতে পেরেছিলেন। ডিসেম্বরের কাশ্মীরে হাড়-কাঁপানো ঠাণ্ডা আর বরফের জন্য মোঘল সেনারা সেবার খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি। তবে ইউসুফ শাহ চাক সেবারের মতো কাশ্মীরকে বাঁচাতে পারলেও, তৎকালীন মোঘল সেনাপতি মানসিংহ তাকে একটি হুমকি-চিঠিতে জানিয়েছিলেন যে, হয় তাকে দিল্লীতে গিয়ে সম্রাটের সামনে আত্মসমর্পণ করতেই হবে, নয়তো পরের বার কাশ্মীরকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সত্যিই আর ছাড় মেলেনি। স্বাধীন রাজ্য কাশ্মীর পরাধীন হয়েছিল, দিল্লীর সম্রাটের সামনে কাশ্মীরকে নতিস্বীকার করতে হয়েছিল। কিন্তু মুঘলদের জন্য সেই ইতিহাস যত না গর্বের, তার থেকেও বেশি প্রতারণার ও বিশ্বাসঘাতকতার।

ইউসুফ শাহ চাক অতি উদার ও সংস্কৃতিমনা ছিলেন। কিন্তু একই সাথে তিনি দুর্বল ও সিদ্ধান্ত নিতে-না-পারা এক শাসকও ছিলেন। একদিন তিনি ঘোড়ায় চড়ে বেরিয়ে দেখেছিলেন যে, আখরোটের বাগানে এক সুন্দরী নারী আপনমনে গান গাইছেন। সেই সুন্দরী ছিলেন এক চাষিঘরের বউ, কিন্তু একই সাথে তিনি কবিও ছিলেন। এরপরে প্রেমের কী আর বাকি থাকে? যথাসময়ে তিনি সুলতানের বেগম হয়েছিলেন। সেই নারী হলেন কাশ্মীরের অন্যতম মহিলা কবি হাব্বা খাতুন। সুন্দরী বউ পেয়ে ও শিল্পসাধনায় মগ্ন থাকবার ফলে ইউসুফ ভুলেই গিয়েছিলেন যে, তার কিছু প্রশাসনিক কর্তব্যও রয়েছে। ফলে তিনি প্রশাসনের কাজে ঢিলেমি দিতে শুরু করেছিলেন। এর ফলে প্রজারা তার ওপর নাখোশ হয়েছিলেন। সুযোগ বুঝে শত্রু রাজারা কাশ্মীর আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন। শেষমেশ ইউসুফ শাহ চাক তার ভাই লোহার চাকের হাতে কাশ্মীরের সিংহাসন ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। লোহার চাক টেনেটুনে তেরো মাস কাশ্মীরের মসনদে ছিলেন।

তারপরেই ইউসুফ তার হৃতরাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য ফের ময়দানে নেমেছিলেন। নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য তিনি লাহৌরের তৎকালীন শাসক ও আকবরের প্রধান সেনাপতি মানসিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। মানসিংহ তাকে আগ্রায় খোদ সম্রাট আকবরের সঙ্গে দেখা করে তার সাহায্য প্রার্থনা করবার উপদেশ দিয়েছিলেন। এরপরে ইউসুফ সেটাই করেছিলেন। তিনি ফতেপুর সিক্রিতে আকবরের দরবারে হাজির হয়েছিলেন। আকবরও তখন কাশ্মীরকে হস্তগত করবার একটা সুযোগ খুঁজছিলেন। তাই তিনি তৎক্ষণাৎ রাজা মানসিংহকে প্রচুর সৈন্যসামন্ত নিয়ে ইউসুফের সঙ্গে কাশ্মীর অভিযান করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আগ্রা থেকে কাশ্মীর ফেরত যাওয়ার পথেই ইউসুফ চাক বুঝতে পেরেছিলেন যে, তিনি মস্ত ভুল করে ফেলেছেন। তিনি বুঝেছিলেন যে, আকবর সেই সুযোগে নিজেই কাশ্মীরের দখল নেবেন। তাই তখন তিনি বুদ্ধি করে মানসিংহকে বলেছিলেন, আমার সেনার সঙ্গে এখনই আপনার কাশ্মীর ঢোকার দরকার নেই, আমি বরং একাই দেশের মানুষের কাছে পৌঁছতে পারা যায় কিনা দেখি!

তিনি পেরেছিলেন। মোঘল সাহায্য ছাড়াই লোহার চাকের আবদাল ভাটকে ইউসুফ চাকের বাহিনী যুদ্ধে পরাজিত করেছিল। ইউসুফ ফের কাশ্মীরে তখতে আসীন হয়েছিলেন। কিন্তু মোঘল সম্রাটের সামনে ইউসুফ কথা দিয়েছিলেন যে, তার সাহায্যের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তিনি মানসিংহকে কাশ্মীরে আমন্ত্রণ জানাবেন। ইউসুফ কাশ্মীরের তখতে বসলেও মানসিংহকে আর কাশ্মীরে আমন্ত্রণ জানাননি। এতে মানসিংহ বুঝে গিয়েছিলেন যে, ইউসুফ শাহ চাক মোঘল সম্রাটের বশ্যতা স্বীকার করতে চান না। ওদিকে সম্রাট আকবর চেয়েছিলেন যে একটাই ভারত, একটাই মোঘল সাম্রাজ্য থাকবে। সেখানে অন্য শাসকেরা থাকবেন বটে, কিন্তু তারা কেবলমাত্র মোঘল শাসনের প্রতিনিধি হিসেবেই নিজেদের দায়িত্ব সামাল দেবেন। তাই ইউসুফের স্বাধীনচেতা মনোভাবকে তিনি ভাল চোখে দেখেননি। তবুও তৎক্ষণাৎ কোন বাবদ না বাঁধিয়ে তিনি কাশ্মীররাজকে সন্ধিপ্রস্তাব দিয়ে নিজের দরবারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ইউসুফ তার সেই তলব প্রায় প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

প্রায় কেন? কারণ, তিনি নিজে না গিয়ে তার ছোট ছেলে ইয়াকুব চাককে আকবরের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে মোঘল সম্রাট তার ওপর আরো খেপে উঠেছিলেন। ১৫৮৫ সালের আগস্ট মাসে তিনি কাবুলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে অক্টোবর মাসে পাঞ্জাবে ফিরে তিনি তার দুজন প্রতিনিধিকে ইউসুফের কাছে পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন যে, তিনি যেন পত্রপাঠ তার কাছে হাজিরা দেন। সেবার ইউসুফের মন্ত্রী-সেনাপতিরাই তাকে আকবরের আমন্ত্রণে সারা দিতে নিষেধ করেছিলেন। ফলে ইউসুফ মোঘল সম্রাটের সামনে উপস্থিত হননি। তারপরেই ডিসেম্বর মাসে আকবরের বিশাল সৈন্যবাহিনী কাশ্মীরের দরজায় উপস্থিত হয়েছিল। বিরাট সেই মোঘল সৈন্যবাহিনীর দায়িত্বে তিন সেনাপতি ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ইতিহাস বিখ্যাত বীরবল। আকবরের নবরত্ন সভার কবি, পরামর্শদাতা ও গায়ক বীরবল। আকবরের আশা করেছিলেন যে, আট হাজার সেনা পাঠিয়ে ইউসুফের মন গলানো সম্ভব না হলেও, বীরবল নিশ্চয়ই সেকাজ করতে পারবেন। কিন্তু সম্রাটের প্রিয় সভাসদও সেবারে কিছু করতে পারেননি।

শেষেমেষে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পরে, আকবরের আরেক সেনাপতি রাজা ভগবান দাস ইউসুফ চাককে তার সামনে উপস্থিত করতে পেরেছিলেন। কিন্তু মোঘল দরবারে আসার আগে ভগবানদাস আর ইউসুফ চাকের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, আকবর সেসব মানেননি। কোথায় তিনি মোঘল সম্রাট, কোথায় কাশ্মীরের শাসক ইউসুফ! তাই তিনি নিয়ম ভেঙে ইউসুফকে বন্দি করেছিলেন। মোঘল সম্রাটের এহেন বিশ্বাসঘাতকতায় বিরক্ত ও বিষণ্ণ ভগবান দাস আত্মহত্যা করেছিলেন। ইউসুফ শাহ চাকও আর কোনোদিন নিজের প্রিয় রাজ্যে ফিরে যেতে পারেননি। আকবর তাকে টোডর মলের অধীনে বন্দি রেখেছিলেন। প্রথমে তিনি গৃহবন্দি দশায় বঙ্গদেশে ছিলেন, পরে তাকে মনসবদার করে বিহারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। আজও নালন্দা জেলার বিসওয়াকে তার সমাধি রয়েছে।

ওদিকে আকবরের হাতে ইউসুফের বন্দিদশার খবর পেয়ে কাশ্মীরের মানুষ তার ছেলে ইয়াকুব শাহ চাককে কাশ্মীরের সিংহাসনে বসিয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। ইয়াকুব দক্ষ শাসক ছিলেন না। এর ফলে রাজ্যে অরাজকতা দেখা দিয়েছিল। সেই সুযোগেই মোঘলরা আবার কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছিল। তবে এমনও শোনা যায় যে, কাশ্মীরে যখন ওই অরাজকতা চলছিল, তখন সেখানকার দুজন সুন্নি ধর্মগুরু নাকি আকবরের সাহায্য প্রার্থনা করে তাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যাই হোক, এরপরে আকবরের আদেশে ১৫৮৬ সালের ২৮ জুন তারিখে কাশিম খান ৪০ হাজার অশ্বারোহী আর ২০ হাজার পদাতিক সৈন্য নিয়ে কাশ্মীর আক্রমণের জন্য যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারপরে মোঘল বাহিনী প্রথমে রাজৌরি, পরে শ্রীনগর অধিকার করে নিয়েছিল। সেই সঙ্গেই কাশ্মীর নিজের স্বাধীনতা হারিয়েছিল। একই সাথে ভবিষ্যতের অগুনতি বিদেশি আক্রমণের জন্য কাশ্মীরের দরজা খুলে গিয়েছিল। ইউসুফের ছেলের দশাও পরে তার পিতার মতোই হয়েছিল। পরে বিহারে পিতা পুত্রের দেখা হয়েছিল। তাদের দুজনই তখন বন্দি।

কোথায় ভূস্বর্গ কাশ্মীর আর কোথায় গনগনে গরমের বিহার! ওদিকে প্রাক্তন রাজরানি হাব্বা খাতুন কাশ্মীরেই থেকে গিয়েছিলেন। তিনি ইউসুফ চাকের বিরহে গান লিখে একাকী নিজের মনে গাইতেন। তার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল, সে খবর ইতিহাস রাখেনি। ঐতিহাসিকেরা মনে করেন, নিজেদের সাম্রাজ্যের সীমানা আরও বাড়াতেই মুঘলরা কাশ্মীর দখল করেছিলেন। সমতলের ঝাঁ-ঝাঁ গরম থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তারা কাশ্মীরে গিয়ে শরীর জুড়োতেন। পরবর্তীকালে আফগান আর শিখরাও কাশ্মীরের দখল নিয়েছিল। ডোগরার শাসক গুলাব সিং ৮৫ লাখ নানক শাহি শিখদের বসবাসের জন্য কাশ্মীরকে আক্ষরিক অর্থে কিনেই নিয়েছিলেন। তিনি কাশ্মীরের সীমানা প্রসারিত করেছিলেন এবং সেখানে নিজের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তারপরে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এভাবেই চলেছিল। গুলাব সিংয়ের উত্তরসূরিরা কাশ্মীরি মুসলিম প্রজাদের ওপর কম অত্যাচার করেননি। কাশ্মীরি মুসলিমরা ১৫৮৬ সালেই নিজেদের স্বাধীনতা হারিয়েছিল।

১৯৩১ সালে যখন তারা ডোগরা রাজাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল, তখন সেটা তাদের আরেক স্বাধীনতার লড়াই হয়ে উঠেছিল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে সেই লড়াইয়ের প্রত্যক্ষ কোনো যোগ ছিল না। কিন্তু রাজনীতির খেলায় যেমনটা হয়ে থাকে, কাশ্মীর যথারীতি ভারত-পাকিস্তান দেশভাগের মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছিল। আজও কাশ্মীরকে নিয়ে ভারত, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে দড়ি টানাটানি অব্যাহত রয়েছে।

আকবরের সঙ্গে ইউসুফের লড়াইয়ের কাহিনিতেও কিন্তু চমকের কোনো অভাব নেই। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, ইউসুফের নিজেরও দোষ ছিল, নিজের পতনের পথ তিনি নিজেই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আসল কথা হলো, যুদ্ধে আকবরের বাহিনী ইউসুফ শাহ চাকের সৈন্যদের হাতে দুরমুশ হয়েছিল, আর যদি ইউসুফ আকবরের ফন্দিতে বন্দি না হতেন, তাহলে আকবরের কাশ্মীর বিজয়ও কখনো সম্ভব হতো না। আকবর সেদিন প্রতারণা না করলে, কাশ্মীরের ইতিহাস হয়তো অন্য রকমের হতে পারত।