সাঈফ ইবনে রফিক

সাঈফ ইবনে রফিক

আমেরিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের কবিতা

সাঈফ ইবনে রফিক

প্রকাশিত : জুন ০৩, ২০২০

শেষরক্ষা

I can’t Breathe- George Floyd

 

আমিও শ্বাস নিতে পারছি না জর্জ ফ্লয়েড।
পিংক ফ্লয়েডের গানে
ঝাঁকে ঝাঁকে মরছে মানুষ।
ক্লাইভ লয়েডকে তাড়িয়েও
শেষরক্ষা হচ্ছে না আমার।
পতঙ্গের মতো বেঁচে আছি
অচেনা আতংকে।

তুমি বেঁচে গেছো জর্জ
তোমার করোনা হবে না।
তোমাকে নিয়ে বরং গির্জায় যাব
হাসপাতালে নয়!

মায়াজাল

জর্জ, চেয়ে দেখো—
অ্যালেক্স হেলিও ভুলে গেছেন রুটস!
পিতৃপ্রদত্ত নাম। ট্রাইবাল উইজডম।
টাবু টোটেমের মায়াজাল।
ঘন আফ্রিকার বনভূমি থেকে
কাদামাটির মতো তোমাদের তুলে আনা হলো।
ছাঁচে গড়ে তোলা হলো আধা-মানুষ।
সভ্যতা কতটা অসভ্য হলে
হোমো স্যাপিয়েন্সকে ক্রীতদাস বলে
পরিচয় করিয়ে দেয়
ইতিহাসের সাথে!

এতক্ষণে জর্জ ফ্লয়েড বুঝে গেছেন—
আর শ্বেতাঙ্গ ঈশ্বরপুত্ররা
যে স্বর্গপিতার সাথে তার পরিচয়
করিয়ে দিয়েছিল গির্জার ক্রুশে—
তিনি আফ্রিকা চেনেন না।
তিনি ইউরোপ চেনেন না।
তিনি আমেরিকাও চেনেন না।
তিনি মানুষ চেনেন। শুধুই মানুষ।

মধ্যবিত্ত রাজকন্যা

শপিংমল ভেঙে গিটার লুট হয়েছে
স্পার্টাকাসের জন্য বেবিফুড ছিনতাই করেছে মা।
আমেরিকা, তোমার পারমাণবিক বোমা
ঢুকে পড়েছে অ্যালেন গিন্সবার্গের পাছায়।
যে জাদুময় ইজমের ছড়ি ঘুরাও
নোয়াম চমস্কি; চমকিত দিনে
আমিতো তাকেই বিপ্লব ভেবেছি।
মিশেল ওবামা যখন ফার্স্টলেডি
কালো পুরু বাহুতে জড়িয়ে ধরেছেন
বারাক। আমেরিকান প্রেম!
তখনও, জেনে রেখো তখনও—
বাড়িটার নাম হোয়াইট হাউস!
পৃথিবীজুড়ে শ্বেতাঙ্গ পেতনির আস্তানা
গড়ে দিয়েছিলেন যে কন্ডোলিৎসা রাইস—
সেও কালো। কালোদের বিপক্ষে থাকা
যুদ্ধবাজ কৃষ্ণাঙ্গ রাক্ষস।

ততদিনে এশিয়ার হাটে
রং ফর্সাকারী ক্রিমের বাজারমাত!
সামনে বিয়ে—
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি মাখছে
স্কুল পালানো মধ্যবিত্ত রাজকন্যা।