আরেকটি ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ ধ্বংস করল ইরান

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুন ১৭, ২০২৫

ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী মঙ্গলবার তাবরিজ শহরের আকাশে আরও একটি ইজরায়েলি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। এটি ছিল ইরানের হাতে ধ্বংস হওয়া চতুর্থ এফ-৩৫, যা নতুন সামরিক বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এই ঘটনা জানান দিচ্ছে, ইরান এখন শুধু কৌশলগতভাবেই নয়, প্রযুক্তিগতভাবেও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে একই স্তরে প্রতিযোগিতা করছে।

রাশিয়ান এস-৩০০ ও দেশীয়ভাবে উন্নত বোয়ার্দ-৩৭৩ সিস্টেমের পাশাপাশি ‘খোরামশাহর’ ও ‘সাইয়েদ আল-শোহাদা’ রাডার সিস্টেম ইরানকে এমন প্রতিরক্ষা ব্যূহ দিয়েছে, যা ইজরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘নো-ফ্লাই’ ভাবমূর্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।

ইজরায়েল দীর্ঘদিন ধরে এফ-৩৫-কে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ফাইটার জেট শক্তির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এ যুদ্ধবিমানগুলো মূলত মার্কিন প্রযুক্তির নির্যাস। যার মূল্য ইউনিট প্রতি ৮০-১০০ মিলিয়ন ডলার। এমন শক্তিশালী স্টেলথ জেট ভূপাতিত হওয়া মানে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, কৌশলগত কঠিন বার্তাও।

ইরানের পক্ষ থেকে এমন সুনির্দিষ্টভাবে এফ-৩৫ টার্গেট করা সামরিক আত্মবিশ্বাসেরও পরিচায়ক, যা আগে এতটা স্পষ্ট ছিল না। এটি একটি অঘোষিত বার্তা। ইরান যদি চায়, ইজরায়েলের আকাশও নিরাপদ নয়।

এখন পর্যন্ত এই চতুর্থ এফ-৩৫ ধ্বংসের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ইজরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এ ধরনের ঘটনাগুলোতে প্রথমে অস্বীকার, পরে ধীরে ধীরে ‘গোয়েন্দা তথ্য ভুল’ বা ‘দুর্ঘটনা’ বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, যুদ্ধক্ষেত্রে ইরান এখন শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আক্রমণ-প্রতিরোধের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে। এর অর্থ দাঁড়ায়, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সামরিক ভারসাম্য গড়ে উঠছে, যার নিয়ন্ত্রণ আর কেবল ওয়াশিংটন বা তেলআবিবের হাতে থাকবে না। সূত্র: মেহের নিউজ