ইজরায়েরি হামলায় গাজায় একদিনে নিহ ১১৫

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুলাই ২১, ২০২৫

ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯২ জনকে গুলি করে মারা হয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সহায়তা নিতে অপেক্ষা করছিল।

উত্তর গাজার জিকিম Zikim চেকপয়েন্টে সহায়তা গ্রহণের অপেক্ষায় থাকা ৭৯ ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ও শিশুকে গুলি করে হত্যা করে ইজরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে দক্ষিণে রাফাহ ও খান ইউনিসে খাদ্য বিতরণ পয়েন্টে নিহত হয় ১৩ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে ১৯ ফিলিস্তিনি মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। গাজার হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগগুলো অভূতপূর্ব সংখ্যক অনাহারী মানুষের চাপে উপচে পড়ছে। সেখানে রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইজরায়েলি আগ্রাসন ও টানা অবরোধের পর চলতি বছরের শুরুতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে কিছুটা স্বস্তি পায় ফিলিস্তিনিরা। তবে মার্চের শুরুতেই আবারও হামলা চালানো শুরু করে ইজরায়েল।

ইজরায়েলি অবরোধের মুখে ২০২৫ সালের ২ মার্চ থেকে গাজায় কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ঢুকতে পারেনি। পরে আন্তর্জাতিক চাপে অবরোধ কিছুটা শিথিল করে নেতানিয়াহুর সরকার।

ইজরায়েলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব চেকপয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং খাদ্য সহায়তা বিতরণ চলছে একটি বিতরণ পয়েন্ট-নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে, যা পরিচালনা করছে ইজরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে গঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফান্ড (জিএইচএফ)।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো জিএইচএফ-এর এই বিতরণ পয়েন্টগুলোকে ‘মানব জবাইখানা’ ও ‘মৃত্যুকূপ’ বলে অভিহিত করেছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের শেষ থেকে অর্থাৎ জিএইচএফের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

১৮ মে থেকে ইজরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে। অব্যাহত ইজরায়েলি আগ্রাসনে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫৮,৮৯৫ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১,৪০,৯৮০ ফিলিস্তিনি। সূত্র: মেহের নিউজ ও আল জাজিরা