ইজরায়েল লাইভ গণহত্যা চালাচ্ছে: থুনবার্গ

ইজরায়েল লাইভ গণহত্যা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে পৌঁছান গ্রেটা থুনবার্গ। এথেন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেটাসহ অন্য অধিকারকর্মীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সমর্থকরা। সে সময় অনেকের হাতেই ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। সেখানে দেওয়া বক্তৃতায় গ্রেটা এ মন্তব্য করেন।

গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, “আমাদের আটক অবস্থায় কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা নিয়ে আমি অনেক কিছু বলতে পারি, বিশ্বাস করুন। কিন্তু সেটাই আসল গল্প নয়। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের চোখের সামনেই একটি গণহত্যা চলছে। এটি একটি লাইভস্ট্রিমড গণহত্যা।”

তিনি আরও বলেন, “আজ কেউ এই অজুহাত দিতে পারবে না যে, তারা জানত না কী ঘটছে। ভবিষ্যতেও কেউ বলতে পারবে না, আমরা জানতাম না। তারা গণহত্যার উদ্দেশ্যে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং একটি পুরো জাতিকে মুছে ফেলতে চায়। আমরা গাজা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিতে পারি না। না কঙ্গো, সুদান, আফগানিস্তান কিংবা পৃথিবীর অন্য কোনো কষ্টভোগী এলাকা থেকে। যা আমরা করছি, তা ন্যূনতম।”

গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, “আমি কখনও বুঝতে পারব না মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে কীভাবে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখা হচ্ছে। যারা বছরের পর বছর অবরোধ, নিপীড়ন ও বর্ণবৈষম্যের মধ্যে বন্দি।”

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে থুনবার্গ বলেন, “গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক। গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়ে ইজরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। ইজরায়েল আমাদের যেভাবে আটক করেছে, তা আসলে আমাদের সরকারগুলোর কর্মকাণ্ডের সরাসরি ফল।”

তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা আছে গণহত্যায় তাদের সম্পৃক্ততা বন্ধ করার। জাতিসংঘ কমিশনারও এখন তা নিশ্চিত করেছে। ইজরায়েল গণহত্যা থেকে কোনো দায়মুক্তি পেতে পারে না।”

 গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের ৪০টিরও বেশি নৌযানের একটি বহর নিয়ে গাজায় যাওয়ার সময় আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৪৭৯ জনকে আটক করে ইজরায়েল। আটক এসব অধিকারকর্মীর মধ্যে সোমবার গ্রেটা থুনবার্গসহ ১৭১ জনকে ইজরায়েল ফেরত পাঠায়। এর আগের ৩ দিনে বিভিন্ন দেশের ১৭০ অধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়।

ইজরায়েলের বন্দিদশায় কীভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, সেই কথা জানিয়েছেন তারা।