
ইজরায়েলে এই প্রথম ‘খাইবার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুন ২২, ২০২৫
ইজরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০তম হামলায় ইরান খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। কিছুক্ষণ আগে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ((আইআরজিসি) জনসংযোগ বিভাগ বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও এসফাহানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর এই অভিযানটি চালানো হয়। অপারেশনের এই ধাপে ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে, যা সফলভাবে লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানে।
তেল আবিবের সুনির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোকে লক্ষ্য করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আগে থেকেই সতর্ক করেছিল, ইজরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে কোনো নিরাপদ স্থান থাকবে না।
আজ রোববার সকালে ইজরায়েলি মিডিয়া জানায়, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তেলআবিব ও হাইফাসহ বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হেনেছে। ইরানের আজকের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেলআবিব ও হাইফার বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরে যায় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের শেষ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি। আনুষ্ঠানিকভাবে খোররামশহর-৪ নামে পরিচিত। এটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের ফোর্থ জেনারেশন।
২০০০ কিলোমিটার পাল্লার খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভারি ওয়ারহেডগুলোর একটি।
তরল জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলের বাইরে ওয়ারহেডের গতিপথ সামঞ্জস্য করার সক্ষমতাও রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। ইরানে নির্মিত এর আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অনেকটাই নির্ভুলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এটি। সূত্র: ইরনা