ইতিহাসে এই প্রথম সর্বোচ্চ সোনার দাম

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ডলার পেরিয়েছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার আরও কমার প্রত্যাশায় ডলারের দুর্বলতায় বিনিয়োগকারীরা আবারও সোনার দিকে ঝুঁকছে।

আজ বুধবার স্পট গোল্ডের দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৩৪ ডলার ৭৩ সেন্টে। একই দিনে ডিসেম্বর ডেলিভারির মার্কিন গোল্ড ফিউচারসের দামও ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৫৬ ডলার ৮০ সেন্টে।

ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীল সময়ে সোনাকে মূল্য সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। এবছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ, ২০২৪ সালে যা ছিল ২৭ শতাংশ।

সুদের হার কমার প্রত্যাশা, চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা, সোনাভিত্তিক ইটিএফে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দুর্বল ডলারের কারণে এই প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

স্টোনএক্সের বিশ্লেষক রোনা ও’কনেলের মতে, ওইসব বিষয়ের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করা সরকারের শাটডাউন পরিস্থিতিও বাজারে ঝুঁকি এড়াতে সোনার দিকে আগ্রহ বাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন বুধবার অষ্টম দিনে পড়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশে দেরি হচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীদেরকে বিকল্প সূত্রের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ফেডের পরবর্তী ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কমার সময় ও সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য।

ফ্রান্স ও জাপানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলমান থাকায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, ইউক্রেইন সংঘাত, ফ্রান্স ও জাপানের রাজনৈতিক অস্থিরতা, এসব কিছুও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বাড়াচ্ছে।

পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম উন্নত দেশগুলোর সোনাভিত্তিক ইটিএফে বিনিয়োগ বাড়াও, এই উত্থানের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন ডয়েচে ব্যাংকের বিশ্লেষক মাইকেল।

তবে সোনার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে অন্যান্য মূল্যবান ধাতু রুপা, প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দামও বেড়েছে। রূপার দাম এখন আউন্সপ্রতি ৪৮ ডলার, প্লাটিনামের ১ হাজার ৬৫৩ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের ১ হাজার ৩৫৫ ডলার।