
কথাসাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের আজ জন্মদিন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুলাই ১৯, ২০২৫
কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের আজ জন্মদিন। ১৮৯৯ সালের ১৯ জুন অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিহার রাজ্যের মনিহারীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বনফুল ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত।
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের পিতার নাম ডা. সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় ও মাতা মৃণালিনী দেবী। তাদের আদি নিবাস হুগলী জেলার শিয়াখালা। কিন্তু তিনি বিহারের পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার অনুজ অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় খ্যাতনামা চিত্রপরিচালক।
প্রথমে মণিহারী স্কুলে এবং পরে সাহেবগঞ্জ জেলার সাহেবগঞ্জ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে বনফুল লেখাপড়া করেন। শেষোক্ত স্কুল থেকে ১৯১৮ সালে প্রবেশিকা (এন্ট্রান্স) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯২০ সালে তিনি আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন হাজারীবাগ সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে। কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন তবে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে থেকে এমবি ডিগ্রী লাভ করেন। প্যাথলজিস্ট হিসাবে ৪০ বছর কাজ করেন। ১৯৬৮ সাল থেকে স্থায়ীভাবে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। ১৯৭৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় কৈশোর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে নিজের নাম লুকোতে তিনি বনফুল ছদ্মনামের আশ্রয় নেন। ১৯১৫ সালে সাহেবগঞ্জ স্কুলে পড়ার সময় মালঞ্চ পত্রিকায় একটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাঁর সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ‘শনিবারের চিঠি’তে ব্যঙ্গ কবিতা ও প্যারডি কবিতা লিখে সাহিত্য জগতে নিজের আসন স্থায়ী করেন। এছাড়া নিয়মিত প্রবাসী, ভারতী এবং সমসাময়িক অন্যান্য পত্রিকায় ছোটগল্প প্রকাশ করেন।
লেখক হিসেবে বনফুল হাজারেরও বেশি কবিতা, ৫৮৬টি ছোট গল্প, ৬০টি উপন্যাস, ৫টি নাটক, জীবনী ছাড়াও অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর রচনাবলি সমগ্র ২২ খণ্ডে প্রকাশিত।
সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি `পদ্মভূষণ` উপাধি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি শরৎস্মৃতি পুরস্কার (১৯৫১), রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৬২), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক (১৯৬৭)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট উপাধি প্রদান করে ১৯৭৩ সালে।