কিংবদন্তি পপ তারকা টনি বেনেট আর নেই
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুলাই ২২, ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী টনি বেনেট মারা গেছেন। মৃত্যুকালে এ পপ ও জ্যাজ তারকার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে তিনি নিউইয়র্কে মারা যান। টনি বেনেটের মুখপাত্র সিলভিয়া ওয়েনার শিল্পীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
২০১৬ সাল থেকে আলঝেইমার রোগে ভুগছিলেন শিল্পী। অসুস্থতা নিয়েও পারফর্ম করে গেছেন টনি। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে রোগাক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালে। ১৯২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইতালির অভিবাসী পরিবারে টনির জন্ম। মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে পরিবারিকভাবে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েন।
নিউ ইয়র্কের স্কুল অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্ট-এ সঙ্গীত ও চিত্রকলা অধ্যয়নের জন্য নাম লেখানোর আগে কিশোর বয়সে তিনি গায়ক ওয়েটার হয়েছিলেন। সহকর্মী বব হোপের কথায় তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন টনি বেনেট। খুব দ্রুতই তিনি কিশোর আইকন হয়ে ওঠেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে তিনি যোগ দেন মার্কিন সেনাবাহিনীতে। যুদ্ধের পর তিনি তার গানের ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম। আট দশকের কর্মজীবনে ২০টি গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছেন টনি। যার মধ্যে একটি ছিল আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
১৯৬২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আই লেফট মাই হার্ট ইন সান ফ্রান্সেসকো’ তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর একটি। বেনেট নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালের সেলমা থেকে মন্টগোমারি মার্চে অংশ নিয়েছিলেন এবং বর্ণবাদ যুগের দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিনয় করতে অস্বীকার করেছিলেন।
বিবৃতিতে গায়ক বিলি জোয়েল বলেছেন, “টনি বেনেট ছিলেন ২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত আমেরিকান জনপ্রিয় গানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যাকারদের একজন।”
তিনি আরও বলেন, “সমসাময়িক সঙ্গীতের শিল্পে তার অসামান্য অবদানের জন্য আমি তার কাছে সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকব। তার সঙ্গে কাজ করা বেশ আনন্দের ছিল। তিনি আমার পরিচিত সেরা মানুষের মধ্যে একজন ছিলেন।”
পরিচালক মার্টিন স্কোরসেস বলেন, “টনি বেনেট একজন পরিপূর্ণ শিল্পী ছিলেন। এটি সনাক্ত করতে হলে তার শত শত রেকর্ডিংয়ের যেকোনো একটি শুলেই হবে।” সূত্র: বিবিসি
























