খাদিজাতুল কোবরা

খাদিজাতুল কোবরা

খাদিজাতুল কোবরার ৫ কবিতা

প্রকাশিত : মার্চ ২৯, ২০২০

আহা জীবনানন্দ

মনে মনে চাইতাম
একটা কবিতা লেখা হবে আমাকে নিয়ে
বনলতার মতো

দিন যায়
রাত নেমে আসে
সময়ের চাকা এভাবেই গড়িয়ে চলে...
আর আমি এখনও পড়ি, ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার...‘
আহা জীবনানন্দ, আর কি কেউ নেই
তোমার মতো!
অমন প্রেম আর ব্যথা নিয়ে দুটি কথা লিখবার?

বৈশাখী বারতা

এসো
শুদ্ধতার সাদা লালে
এবার তুমি জলদি আসো দেবি
আঁচল উড়িয়ে আকাশ বাতাস
জল ঘুরিয়ে
ঘূর্ণিপাককে আস্ত গিলে কত্থকের
ঝুমুর তালে
কালীরূপে তুমি এসো।

হাহাকার করা দুপুর
কাল গিলে ফেলা রাত্তির
সব নেচে উঠুক তোমার
হাতের তালুতে,
নিচে পড়ে যাক
ভেসে যাক
নিশ্বাসের অবিশ্বাস যত।

তুমি আসো এবার অন্যভাবে
নতুন বৈশাখী বারতায়।

এক রকমের খেলা

একটা কবিতা লিখি মনে মনে
যখন খাতায় লিখি
বালছাল কিছুই হয় না
মানে কবিদের মতো হয় না
ফেসবুকে যখন লিখি, কিছু একটা হয়
লেখাগুলা দেখতে সুন্দর, ভাঁজ করা
কেউ কেউ লাইক দেয়, আবার কমেন্টও করে
ভাল্লাগে।
কিন্তু না মনটা খচখচ করে
আবার মনে মনে লিখি
অনেক লিখি,
লিখি আমি কেন জাইগা আছি
খুব ভাল্লাগে...
আবার যাই খাতায়, আবার আসি ফেসবুকে

এ এক রকমের খেলা!

সংসার

হঠাৎই মনে হয়
আরে, এটা কে?
কেমনে এলো
আমার কোলে?

আমার বাচ্চা
আমার কলিজা
আমার একটা জীবন
আমার সংসার
মায়া, আর বেঁধে বেঁধে থাকার তাড়না!

জাতিস্মর

এ আমার প্রাচীন প্রেম
কোনো এক অনাদিকালের
পাথরের গুহায় আঁকা ছিল
অজোন্তার মতো
আমি নতুন করে ভালোবাসিনি
লিলিথের বুকের ভেতরে জমা করা
প্রেমের অংশ হয়ে আমি ঘুরে ঘুরে
ভ্রুণ থেকে ভ্রুণে প্রকাশ্য গোপনে
তোমার কাছে ভিড়েছি।
যে চুমু তোমার ঠোঁট গলে গলে
মিশে যায় নখের ডগায়
তারও অনুভব তোমার খুব পুরোনো
তুমি মনে করে দেখো

খোলা আকাশের নিচে বুক খোলা
হাওয়া দুহাতে মেলে তোমাকে ডেকেছিল
সেই স্মৃতি মনে করে
আজও নিষিক্ত প্রেমের
সন্ধানে ঘুরে মরছে আদমেরা।