খোদার কসম, লালনের কাছে দেহতত্ত্ব শিখি নাই

সজীব দে

প্রকাশিত : আগস্ট ০৩, ২০২০

গান এখনও বুঝি না অথবা যা বুঝি তা কেবল প্রবহণ। গ্রাফিত্তিঅলা হইয়া উঠতে উঠতে রক মেটাল শুনতে শুনতে আবার শুনি আয়রন মেইডেন কিংবা প্যান্টারা।

একা থেকে যে কয়েকজন হিপিদের জীবনের কথা কইয়া গ্যাছে পাছে পাছে তাগোরে চিনি। দীপকও মিশতো মিশতো সুনীল আর হিরণ আমারে এসব কথা প্রায়ই কইয়া কইয়া যাইতো। কিন্তু পোস্টমর্ডান হাওয়া ৪৯ পইড়্যা বদলাতে বদলাতে জাতীয়তা বাঙ্গালিত্ব বিসর্জন দিয়া দা গ্র্যাপস অব রথের নায়কের মত হাঁইটা যাই যেখানে মুরের আই লাভ ক্যাপিটালিজম দেইখা চমকাই শুধু, হা রে,তুই কে রে? আর প্রেমিকা চইল্ল্যা যায়। কয় তুই খালি দেহতত্ত্ব শিখছোস।

কিন্তু খোদার কসম, লালনের কাছে কোনোদিন যাই নাই। কসমিক সেক্স লইয়া মাথাব্যথাও নাই। বরং জানি, জীবনানন্দের জীবন লইয়া বাঁইচা আছি। আমি বারবার চেষ্টা করছি সেপিওসেক্সচুয়াল টাইপ সম্পর্ক বিনির্মাণ করতে আর সে চাইতো তার একটা বাড়ি হোক টাইপ সম্পর্ক। ভগবান জানে, আমি কোনোদিন কোনো স্বপ্নও দেখি নাই। আররবান রোমান্টিক হইতে এগুলা ডিসঅর্ডার মনে হয়। তাই খুব রাগ হয়। আর দূরে সরতে থাকি। আর যদি জিগাও তোমার শান্তি কিসে? কমু, আপাতত সমুদ্রের কাছে বইসা বোতল বোতল বিয়ার খাইতাম। কিন্তু এটাতো মহীনের ঘোড়াগুলিতে কইছে তার জন্য জার্মান হইতে হইবো। আমি বাল কে? আগের কথায় আসি, হ। আমি রকস্টার আর হইতে পারি নাই।

মাঝে গল্পকার হইয়া উঠছিলাম মান্টোর মতো। বন্ধু কইতো আমার গল্পের হাত ভাল। তারপর থেইকা লেখা ছাইড়া দিছি। একবার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরে কইছিলাম আপনের কাছে আসার চেয়ে প্রেম করা ভাল। প্রেমিকার কাছে ছুইটা যাইতাম। হাঁটতাম। গল্প করতাম। মাঝে মাঝে খুনসুটি। তাও প্রেমিকা কয় তার শরীর ভালবাসি। কিন্তু জগদীশ এ্যালান এরা জানে আমি ডুইবা গেছি অথৈ জলে। বিভূতি তো তাই দেখলো। কিন্তু সে বিদায় নিলো।

লেখক: কবি ও কথাসাহিত্যিক