চলচ্চিত্রকে বিদায় জানাবো: ডিপজল

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুন ১৫, ২০২২

চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেবেন বলে জানিয়েছেন দেশি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খল অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ ও বিরক্ত হয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ডিপজল বলেন, “শিল্পীদের ভাবমূর্তি বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। এক নির্বাচনে ধ্বংস হয়ে গেছে ৯৯ ভাগ। এক পারসেন্ট বাকি ছিল, সেটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে আর কিছু বলার নেই। আমার আর দু’তিটে ছবির গল্প আছে। সেগুলো শেষ করার পর চলচ্চিত্রকে বিদায় জানাবো। ভেবেছিলাম মরণের আগের দিন পর্যন্ত সিনেমা বানাব, ফিল্মের পাশে থাকব, অভিনয় করে যাব। তা আর মনে হয় হচ্ছে না। বড়জোর তিনটা ছবি করতে পারি। এরপর সিনেমাকে গুডবাই।”

তিনি আরও বলেন, “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কখনোই এত নোংরামি আমি দেখিনি। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানোর জন্য সিনেমা বানিয়েছি। কোনো দিন লাভের কথা ভাবিনি। চেষ্টা করেছি, সিনেমা যেন ভালো জায়গায় থাকে। কিন্তু সেই চেষ্টার কোনো মূল্যায়ন পেলাম না। তাই এখানে থাকব না। তবে আমি থাকি না থাকি, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভালো চাই। শিল্পী সমিতির চেয়ারে কে বসবে, কে ক্ষমতা দেখাবে, এই নিয়ে এখন শিল্পী সমিতিতে মারামারি হয়। শিল্পী সমিতি টিকবে কী দিয়ে?”

ডিপজল বলেন, “ছবি না থাকলে না খেয়ে শিল্পী সমিতির অফিসে বসে থেকে লাভ কী। কেউ সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিচ্ছে না। উল্টো চাচ্ছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করা যায়। কিন্তু সিনেমা হোক, এটা কোনো একটা পক্ষ চাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ছিল ডিপজলের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধণা। চলচ্চিত্রের অনেক তারকাই ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। গিয়েছিলেন ওমর সানী ও জায়েদ খানও। মৌসুমীকে বিরক্ত করার অভিযোগে সেখানেই জায়েদ খানকে সবার সামনে চড় মেরে বসেন ওমর সানী। এরপর জায়েদ খান নাকি কোমর থেকে পিস্তল বের করে ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি দেন।

এ ঘটনার একদিন পর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন ওমর সানী। তাকে সমিতি থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। সানী বলেন, “জায়েদ খানের মতো একজন অস্ত্রধারী সমিতির সদস্য থাকতে পারে না।”

এ ঘটনায় স্বামীর বিপক্ষে গিয়ে জায়েদ খানের পক্ষে কথা বলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তিনি সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো অডিও বার্তায় জানান, জায়েদ খান তাকে কোনোভাবে বিরক্ত বা অসম্মান করেননি। বরং তাকে বড় বোনের মতো সম্মান করেন। জায়েদ খানকে ভালো ছেলে। ওমর সানী মিথ্যাচার করছেন। এছাড়া স্বামীকে ভাই বলেও সম্মোধন করেন মৌসুমী।

বাবার পক্ষ নিয়ে ওমর সানীর ছেলে ফারদিন এহসান গণমাধ্যমে দাবি করেন, “জায়েদ খান শুধু আম্মুকে নয়, চলচ্চিত্রের অনেককেই বিরক্ত করে। এই বিষয়গুলো আমি জানি। জায়েদ খান আমার ব্যবসায়েরও ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন।” জায়েদ খানকে তিনি রাস্তার ব্যাঙের সঙ্গেও তুলনা করেন।