ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ১১, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে পাওয়া নোবেল পুরস্কার উৎসর্গ করলেন এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ মারিয়া কোরিনা মাচাদো।

মাচাদো এক্সে লিখেছেন, “আমি এই পুরস্কারটি ভেনিজুয়েলার যন্ত্রণার মধ্যে থাকা জনগণ এবং আমাদের আন্দোলনে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তমূলক সমর্থনের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।”

ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরোর মাদকপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার দাবিও তুলেছে এবং এ বছরে তার গ্রেফতারের তথ্য প্রদানকারীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেনিজুয়েলার নৌযান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসন মাদকপাচারকারী সন্ত্রাসবাদী হিসেবে বর্ণনা করেছে। যদিও মাদুরো এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কখনোই গোপন করেননি। শুক্রবারও তিনি দাবি করেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি বিশ্বের ৯টি বড় সংঘাতের সমাধান করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে গাজার যুদ্ধও।

তার এই দাবির বেশির ভাগই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বা সাময়িক সমঝোতা চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির নয়। এ বছরের শুরুতে ইজরায়েল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধে তার ভূমিকা কিছুটা স্পষ্ট হলেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে তা প্রশ্নবিদ্ধ।

উদাহরণস্বরূপ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর কৃতিত্ব ট্রাম্প নিজের নামে নিলেও, নয়াদিল্লি তা নাকচ করে। এছাড়া মিশর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁস বাঁধ (জিইআরডি) নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছিল, তাতেও কোনো কার্যকর সাফল্য দেখাতে পারেননি ট্রাম্প।

নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং এক্সে লিখেছেন, “ট্রাম্প প্রকৃত মানবতাবাদী। তার মতো ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষ আর নেই, যিনি একাই পাহাড় সরাতে পারেন। নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, নোবেল কমিটি শেষ পর্যন্ত পুরস্কার দিয়েছে ভেনিজুয়েলার বিরোধী রাজনীতিক মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে। নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান জোর্গেন ওয়াটনে ফ্রায়ডেন্স বলেছেন, দীর্ঘ ইতিহাসে নোবেল কমিটি এ ধরনের (ট্রাম্পের মতো) ক্যাম্পেইন ও মিডিয়ার উত্তেজনা দেখেছে। এছাড়া নোবেল কমিটির কাছে প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি আসে। কিন্তু নোবেল শুধু পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাজের ওপর নির্ভর করে এবং আলফ্রেড নোবেলের করা উইল অনুযায়ী দেওয়া হয়।