ডব্লিউ. বি. ইয়েটস ও জেমস রৌর দুটি কবিতা

ভাষান্তর: আজিম খান

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩

জেমস রৌর কবিতা ‘বৃষ্টি’

 

গতকাল রাতে বৃষ্টি হয়েছিল
শান্ত ও মৃদু বৃষ্টি;
যা টোকা দিয়েছিল আমার জানালার কাচে।
এবং আমাকে ডেকেছিল অশান্ত ঘুম থেকে উঠে আসতে
কেঁদে অসাড়তা দূর করতে
আমার হৃদয়কে প্রশমিত করতে।

 

গভীর ও ধ্রুব ছিল আমার একাকিত্ব
এবং একটা আরোগ্যহীন জখমের মতো
এটা আমার ভেতর স্পন্দন তৈরি করে
এবং আমি জানতাম
আমার দুই বাহু ছিল রিক্ত তুমিবিহীন।

 

কিন্তু যখন আমি শব্দ শুনলাম
মাটিতে পড়ন্ত কোমল বৃষ্টির
আমি তখন শুনতে পেলাম
তোমার দরদি ও স্পষ্ট কণ্ঠস্বর
আমার নাম ধরে ডাকতে, হে আমার প্রিয়।

 

আমার জানালাকে খুলে দিলাম প্রশস্তভাবে
যেন ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে সুললিত বৃষ্টিধারা।
বৃষ্টি চুমো খায় আমার ঠোঁটে-চোখে-চুলে
এবং হে আমার ভালবাসা, আমি জানি তুমি সেখানে ছিলে।

 

তোমার অশ্রুজল (বৃষ্টি হয়ে) স্বর্গ থেকে নিচে নেমে এসেছিল
যা আমার হৃদয় উন্মোচিত করতে পারেনি
এবং বয়ে এনেছিল প্রশান্তি।
গতকাল রাতে ধূসর মেঘপুঞ্জ যখন মৃদুভাবে কেঁদেছিল
আমি তখন আমার বাহুতে তোমায় জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিলাম।

 

ডব্লিউ. বি. ইয়েটসের কবিতা ‘শোনো হে , অনন্ত অধিক ভালোবেসো না’

 

শোনো প্রিয়, অনন্ত অধিক ভালোবেসো না
আমি অধিক, অধিক এবং অধিক ভালোবেসেছিলাম,
এবং যেন হয়ে উঠেছিলাম চলতি ফ্যাশনের বাইরে;
যেমন ধরো একটা পুরনো দিনের গান।

 

আমাদের তারুণ্যের পুরোটা সময়জুড়ে
আমরা কেউ কাউকে পারিনি বুঝতে
পারিনি বুঝতে একে অপরের ভাবনাগুলো
যদিও মনে হতো, ঢের বেশি মতৈক্য রয়েছে আমাদের মাঝে।

 

কিন্তু হায়! মুহূর্তেই সে বদলে গেল
শোনো হে, অনন্ত অধিক ভালোবেসো না
যদি বাসো, হয়ে যাবে অচল ফ্যাশনের মতো
যেমন অচল হয়ে পড়ে কখনোবা একটি পুরনো গান।