ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আগে তদন্ত, পরে গ্রেফতার: আইনমন্ত্রী

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ০২, ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের আগে পুলিশি তদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া যাবে না, এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “সরাসরি মামলা নেয়া হবে না। কোনও অভিযোগ এলে পুলিশ প্রথমে তদন্ত করে দেখবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তারপরে মামলা নেয়া হবে।”

কিন্তু আইনটি প্রণয়নের পর থেকে কোনও অভিযোগ এলেই পুলিশ মামলা নিয়ে সাথে সাথেই অভিযুক্তকে আটক করছে, এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আগে যাতে আটক না করে এবং তদন্তের জন্য যেন অপেক্ষা করে, সেই জায়গায় আসার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব আইনই যখন করা হয়, তখন কিন্তু একটা ট্রায়াল অ্যান্ড অ্যারর বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কথা হচ্ছে, এখানে যদি কিছু অ্যাবিউজ এবং মিসইউজ হয়, সেটা কি করে বন্ধ করা হবে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।”

আইনমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অফিসের সাথে আমি বিষয়টি নিয়ে আলাপ চালাচ্ছি। সারা বিশ্বের সাথে আমরা এটার তুলনা করছি। মিসইউজ যেগুলি ধরা পড়ছে বা অ্যাবিউজ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর জন্য একটা চেক অ্যাণ্ড ব্যালেন্স সিস্টেম কীভাবে ডেভেলপ করা যায়, এই আইনের মধ্যেই কীভাবে সেটা থাকতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রণয়নের শুরু থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি নিয়ে সমালোচনা চলে আসছে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে প্রায় সব মহলই এ আইনটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। তবে সরকার এসব আপত্তি আমলে নেয়নি।

এই আইনে নয় মাস ধরে আটক থাকা লেখক মুশতাক আহমেদ বৃহস্পতিবার কারাগারে মারা যান। ছয়বার তার জামিন আবেদন নাকচ করেন আদালত।

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে। আইনটি বাতিলের দাবিতে প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে দেশে। ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আইনটির পুনর্বিবেচনা চেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেট। সূত্র: বিবিসি