ঢাকায় বিমান বিধ্বস্তে দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুলাই ২১, ২০২৫

ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুজন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।

আজ সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়ন করে। এরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি মাইলস্টোন স্কুলের হায়দার হল ভবনের ক্যানটিনের ছাদে গিয়ে আছড়ে পড়ে।

এর পরপরই ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস। এরপর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ মারা যায়। সে মাইলস্টোল স্কুলের ইংরেজি ভার্সনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

একই সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) শিক্ষার্থী জুনায়েত মারা যায়। সেও মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে উত্তরার নয়ানগরের বাসিন্দা আসলামের সন্তান।

এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত ২০ জনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। চারজনকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে নেওয়া হয়েছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। তিনজন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান দুর্ঘটনার খবরে স্বজনদের অনেকেই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে। তাদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।

বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি হটলাইন চালু করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর: ০১৯৪৯-০৪৩৬৯৭।

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। ওইদিন দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

পাশাপাশি সব সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। ওইদিন হতাহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।