তমিজ উদ্ দীন লোদী

তমিজ উদ্ দীন লোদী

তমিজ উদ্ দীন লোদীর ৫ কবিতা

প্রকাশিত : জানুয়ারি ২৫, ২০২০

নারীর অধিক তুমি

তুমি বুঁদ হয়ে আছ সুরে, ভাবছো নবম সিম্ফনি
ভাবছো বেটোভেন, ভাবছো মোৎসার্ট।
আর প্রকৃতি তখন সুরেলা, ডুবে আছে সেবাস্টিয়ান বাখ-এ
পিয়ানোতে তোমার আঙুল, খেলে যাচ্ছে অনাবিল নোটেশন ঘিরে
তুমি যেন তুমি নেই, নিজেই যেন ভায়োলিন সোনাটা।

আর আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছি তোমার পাপড়ি আঙুল
দেখছি ধ্যান, ধ্যানস্ত চোখ, মোহিত অবয়ব
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মতো তুমি রইলে আয়ত্বের বাইরে কেবলি
নারীর অধিক তুমি রইলে বেটোভেন মোৎসার্ট হয়ে।

দৃশ্য ১

সন্দেহজনক ও রহস্যময় মানুষেরা একত্র হয়েছে
বৃক্ষটি তবু নত হয়ে আছে
পাতায় পাতায় ক্লোরোফিলের অদৃশ্য গন্ধ
শুষে নিচ্ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড
অকৃতজ্ঞ মানুষেরা তবু শাখা ভেঙে হাসির হল্লা তুলছে।

বীজমন্ত্র ওড়ে তবু বীজমন্ত্র ওড়ে

কিছু লোক দাঁড়িয়ে আছে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে
কিছু লোক সমতলে
বীজের জৌলুসে মজে আছে কেউ
কেউ কেউ ক্লোরোফিলে।

রোদে গলে যায় বরফের ঢেউ
কোথাও জমে গ্লেসিয়ার চাঁই
হিপি আনন্দে এখনো ভেজে কিছু লোক
কেউ কেউ খুঁজে ফেরে সুফির ঘরানা।

কেউ যায় অলৌকিকে
লৌকিকতা ছেড়ে
বৈচিত্র্যে সুন্দর ফোটে নগরে বন্দরে

বীজমন্ত্র ওড়ে তবু বীজমন্ত্র ওড়ে।

স্নায়ু বিবশ হয়ে আসে

স্নায়ু বিবশ হয়ে আসে
‘ঋণ পরিশোধে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছে বাবা‘
জানিয়েছেন কবি তছলিম হোসেন হাওলাদার।

আইয়্যামে জাহেলিয়াত এসে দাঁড়িয়েছে দোরে
হৃদয় বন্ধক রেখে মানুষ রোবট হাঁটে চারপাশে
ওড়ে স্বপ্নের ফানুস
ফুটো হয়ে ঝরে পড়ে জলজ বাতাসে।

কারে তুমি দিল বলো কারে বলো প্রাণ

কারে তুমি দিল বলো কারে বলো প্রাণ
কারে কয় আকুপাকু কারে আনচান
পেছনে তাকিয়ে দেখি, শত ফুল ছিল
ঝরে গেছে অগোচরে, কে যে কেড়ে নিল!

বিস্ময় বিস্ময় মানে প্রকৃতিও ধাঁধা
কারে বলো যাঞ্ছা তুমি কারে বলো সাধা!