ইমাম নাসায়ি

ইমাম নাসায়ি

তুহিন খানের গদ্য ‘ইমাম নাসায়ির খুন: কিছু আলাপ’

প্রকাশিত : আগস্ট ২৩, ২০২১

গোটা মুসলিম দুনিয়ায় হাদিসের যে ছয়টা কিতাব বিশুদ্ধতা, গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়ে, মুসলিমদের দৈনন্দিন চিন্তা ও চর্চার অংশ হইছে, সেগুলারে বলা হয় `সিহাহ ছিত্তা`। এই সিহাহ ছিত্তারই একটা কিতাব হইল নাসায়ি শরিফ। লেখক: আবু আব্দুর রহমান আহমাদ বিন শোয়াইব (২১৫-৩০৩ হি.), যারে আমরা সকলেই `ইমাম নাসায়ি` নামে চিনি।

আজ এই ভদ্রলোকের কাহিনি বলা যাক। দুনিয়ার ইতিহাসে বই লেখার কারণে মরণ হইছে যাদের, ইনি তাদেরই একজন। ওনার মরণের কাহিনিটা বেশ চিন্তাজাগানিয়া; ইতিহাসের অনেকগুলা ধারণা ক্লিয়ার হয় ওনার মওতের কাহিনিতে, অনেকগুলা ব্যাপার পষ্ট হয়।

ইমাম নাসায়ি হাদিসের অনেক বড় ইমাম ছিলেন। মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকরা ওনার জ্ঞান, তাকওয়া ও আমলি যিন্দেগির অনেক প্রশংসা করছেন। এই ইমাম নাসায়ি, সুন্নিদের বড় ছয় ইমামের একজন, `শিয়া মনোভাবাপন্ন হওয়ার অপরাধে` খুন হইছিলেন।

এলেম অর্জনে নানা দেশ ঘুইরা মিশরে থিতু হইছিলেন উনি। ক্যারেক্টার হিশাবে উনি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিলেন ওনার ছাত্রদের কাছে। ইতিহাসের কিছু বয়ান পড়লে বোঝা যায়, ওনারে নিয়া নানারকম গালগল্প চালু ছিল সমাজে।

ইমাম নাসায়ি হিমসের হাকিম ছিলেন কিছুদিন (আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ১১/ ১২৪)। উনি মুরগির মাংশ বেশ পছন্দ করতেন। বয়স হওয়ার পরেও ওনার চেহারার গ্লোরি কমে নাই; বরং বুড়া বয়সেও ওনারে খুব সুন্দর লাগত। এই নিয়া কানাঘুষা চলত কিছু। ওনার একছাত্র একবার বলল. (এই বয়সেও) ওনার চেহারা এত গ্লেস মারে! আমি শিওর, উনি `নাবিয` খান।

আরেক ছাত্র বলল, এনাল সেক্সের ব্যাপারে ওনার মতটা জানতে মনে চায় আমার।
উনি এর জবাবে বলছিলেন, নাবিয তো হারাম। আর এনাল সেক্সের ব্যাপারে কোনো সহিহ হাদিস পাওয়া যায় না। তবে, মুহাম্মদ ইবনে কা`ব আল-কুরাযি ইবনে আব্বাসের সূত্রে বয়ান করছেন, তোমার যমিনে যেদিক থেকে খুশি পানি ঢালো। তার এই কথার বাইরে গিয়া কিছু বলা উচিত হবে না।

ইমাম যাহাবি অবশ্য ওনার এই মতরে শক্তভাবে কাউন্টার করছেন। (যাহাবি, সিয়ার, ১৪/১২৮)। যাহোক, ইমাম নাসায়ি ৩০২ হিজরিতে, মিশর থেকে হজের উদ্দেশ্যে বের হন। প্রথম উনি আসেন দামেশকে। সিরিয়ার বিখ্যাত শহর দামেশক হযরত মুয়াবিয়া ও উমাইয়াদের শক্ত ঘাঁটি হিশাবে ইতিহাসে সুপরিচিত। উমাইয়াদের রাজধানীও ছিল এই দামেশক। স্বাভাবিকভাবেই, এই শহরে উমাইয়াদের কট্টর অনুসারীদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।

এইসময় উনি একটা কিতাব লেখলেন, `খাসাইসু আলি`। এই কিতাবে উনি, হযরত আলি ও আহলে বাইতের মর্যাদা সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ করলেন, হাদিসের আলোকে। হাফেজ আবু নাইম ইস্পাহানির মতে, ওনার ওই বইয়ের বেশিরভাগ বর্ণনা ছিল ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের সূত্রে বর্ণিত। (ইবনে খাল্লিকান, ওফায়াতুল আ`ইয়ান, ১/৭৭)

কেন লেখা লাগল ওনার এই কিতাব? ইমাম নাসায়ির সাথি মুহাম্মদ বিন মুসা মামুনির ভাষ্যমতে, কিছু লোক এই কিতাবের সমালোচনা করতো।

আজকের দিনের `হোয়াটএবাউটিজম`র সাথে অনেক মিল ছিল ওইসব সমালোচনার। হযরত আলিরে নিয়া কিছু লিখলেই যেমন `শিয়া গন্ধ` পায় অনেকে আজকাল, ঠিক তেমনই ছিল এই সমালোচকদের যুক্তি। তারা বলত, আবু বকর ও উমরের ফজিলত নিয়া কেন লেখেন না উনি?

তাদের এই সমালোচনার জবাবে ইমাম নাসায়ি বললেন, দামেশকে আইসা দেখলাম, এখানে হযরত আলির ব্যাপারে অনেক মানুষ বিকৃত কথাবার্তা বলে। এদের হেদায়েতের উদ্দেশ্যেই আমি কিতাবটা লেখছি। (যাহাবি, তাযকিরতুল হুফফায, পৃ. ৬৯৯; সিয়ার, ১৪/১২৯; আল মিযযি, তাহযিবুল কামাল, ১/৩৩৮; ইবনে খাল্লিকান, ওফায়াতুল আ`ইয়ান, ১/৭৭-৭৮)। ইমাম নাসায়ি `كثير` শব্দ ব্যবহার করছেন, যার অর্থ: অনেক। বোঝা যায়, দামেশকে হযরত আলির ব্যাপারে কটুক্তি তখন বেশ ভালোভাবেই চর্চিত ছিল।

যাহোক, এই ধরনের সমালোচনার পর, ইমাম নাসায়ি `ফাজাইলুস সাহাবা` নামের একটা কিতাব লেখলেন। সেখানে আবু বকর ও উমরের ফজিলত আনলেন হযরত আলির আগে। কিন্তু, ওই বইতে হযরত মুয়াবিয়ার ফজিলত নিয়া উনি কিছুই লেখেন নাই। এবার শুরু হইল নতুন সমালোচনা, হযরত মুয়াবিয়ার ফজিলত নিয়া কিছু লেখেন না কেন?

মুহাম্মদ বিন মুসা মামুনি জানাচ্ছেন, ওনার উপস্থিতিতেই একজন সমালোচক একদিন ইমামরে এই প্রশ্ন করলেন। ইমাম বললেন, তার ফজিলত নিয়া কী লিখব? `হে আল্লাহ, তার (মুয়াবিয়া) পেট কখনোই যেন না ভরে`— এই হাদিস? এই কথা শুনে সমালোচক চুপ হয়ে গেল। (যাহাবি, তাযকিরা/সিয়ার, প্রাগুক্ত)

সমালোচনা অবশ্য বন্ধ হইল না। তখন ৩০৩ হিজরির সফর মাস। দামেশকে উমাইয়াদের বানানো বিখ্যাত মসজিদ `জামে উমুবি`তে ইমামের সাথে তর্ক জুইড়া দিল দামেশকের কিছু পাবলিক; আজকের ভাষায় বললে `মব` বা `তৌহিদি জনতা`। ইমাম দারা কুতনি ও আবু আব্দুল্লাহ বিন মান্দাহ, হামযা উকবি আল মিসরি ও অন্যদের সূত্রে বয়ান করেন, মসজিদে উমুবিতে এই মব ইমামরে ধইরা জিগেশ করল, মুয়াবিয়ার ফজিলত নিয়া কিছু বলেন। পাবলিকের প্রশ্নের ধরন সম্ভবত অনেকটা জেরা ও হ্যারাজমেন্ট টাইপের ছিল; ইমাম নাসায়ি কিছুটা রাইগা গিয়াই উত্তর দিলেন, (হযরত আলির) মুখোমুখি হওয়াটাই কি ওনার জন্য যথেষ্ট না, এখন ওনার ফজিলতও বলতে হবে?/ (হযরত আলির) মুখোমুখি হওয়াটাই তো ওনার জন্য যথেষ্ট/আনন্দের ব্যাপার— ওনার ফজিলতও এখন বলা লাগবে?

উত্তেজিত জনতা এই পর্যায়ে ওনারে গনধোলাই দেয়। বুকে ও পিঠে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারে, নিচে ফেলে লাত্থিও দেয় অনেকে। এই ধোলাই চলে মসজিদের ভেতরেই। এরপর সবাই মিলে ওনারে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। মারাত্মক আহত ইমাম নাসায়ি, ফিলিস্তিনের রামাল্লায় গিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ইমাম দারা কুতনি অবশ্য বলছেন, উনি ওইখান থেকে মক্কা গিয়ে মারা গেছেন; তবে এইটা ভুল। (যাহাবি, তাযকিরা, পৃ. ৭০০; সিয়ার, প্রাগুক্ত)। ইবনে খাল্লিকান ঘটনাটা মুহাম্মদ বিন ইসহাক ইস্পাহানির সূত্রে বয়ান করছেন। (প্রাগুক্ত)

ইবনে কাসির দারা কুতনির সূত্রে বলছেন, লোকেরা হযরত মুয়াবিয়ার ফজিলত জানতে চাওয়ার পরে, উনি চুপ ছিলেন। এরপরই মারধোর শুরু হয়। (আল বেদায়া, ১১/১২৪)

যাহোক, এইভাবেই মারা গেলেন আমাদের বিখ্যাত ইমাম নাসায়ি। ওনার এই মরণের ঘটনা থিকা কয়েকটা আন্দাজ আমরা করতে পারি।

১. কোনো কোনো ঐতিহাসিক লিখছেন,  `দামেশকে তখন হযরত মুয়াবিয়ার ভক্ত বেশি ছিল, যেমন কুফায় বেশি ছিল হযরত আলির ভক্ত।` এই তুলনাটা দিয়া উনারা বুঝাইতে চাইছেন, দুইপক্ষেই অনেক বাড়াবাড়ি ছিল। এতে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু, একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বিরাট বড় আলেম ও মুহাদ্দিস, এরকম কেউ কি হযরত মুয়াবিয়ার পক্ষে বই লেইখা কুফায় গণধোলাই খাইছিলেন কখনো? ইতিহাসে আছে? ঘটনাটা ঘটছিল আব্বাসিদের আমলে। উমাইয়াদের আমলে হযরত মুয়াবিয়ার পক্ষে বই লেইখা কেউ গণধোলাই খাইছে? সেটা আসলে সম্ভবই ছিল না।

২. হযরত মুয়াবিয়ার ব্যাপারে ইমাম এক্সাক্টলি কী বলছিলেন, বা আদৌ কিছু বলছিলেন নাকি চুপ ছিলেন— এ নিয়া পরস্পরবিরোধী কিছু বয়ান আছে। এছাড়া, কোনো কোনো বর্ণনায় দেখা যাচ্ছে, উনি হযরত মুয়াবিয়ার পক্ষ নিচ্ছেন। ইবনে আসাকিরের বর্ণনামতে, হযরত মুয়াবিয়ার ব্যাপারে কোনো এক প্রশ্নের জবাবে উনি বলেন, ইসলাম নামের ঘরটার দরজা হইল সাহাবারা। ফলে, সাহাবাদের কষ্ট দেয়া মানে ইসলামরেই কষ্ট দেয়া।... আর যে হযরত মুয়াবিয়ার নিন্দামন্দ করে, সে তো সাহাবাদেরই নিন্দামন্দ করে। (তারিখে দিমাশক, ৭১/১৭৫)

ফলে, ব্যাপারটারে দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
ক. মসজিদে জনতার প্রশ্নের ধরন জেরার মতো ছিল। জনতা তখন বেশ উত্তেজিত ছিল বোঝাই যায়। মেজাজ হারিয়েই হয়ত ইমাম অমন মন্তব্য করছিলেন।

খ. উনি হয়ত কোনো মন্তব্যই করেন নাই। ওইখানে উপস্থিত জনতা পরে ওনার নামে এই উক্তি ছড়াইছে। তাতে লাভ হইছে এই যে, `সাহবিদের শানে কটুক্তি`র যুক্তিতে, তারা নিজেদের এই ভায়োলেন্স কিছুটা হইলেও জায়েজ করতে পারছে তখন।

৩. ভায়োলেন্স যে তারা জায়েজ করতে পারছিল, এর আরেকটা প্রমাণ এই যে, ওই ঘটনার পরবর্তীতে কোনো বিচার হইছিল কিনা, ইতিহাস এ ব্যাপারে নীরব। সম্ভবত, `সাহাবাদের শানে কটুক্তি`র যুক্তিতেই, ওনারে মারপিটের এই ঘটনাটা নিয়া আর তেমন উচ্চবাচ্য হয় নাই। বরং, উলটা কেউ কেউ পরে তারে `শিয়া`/`শিয়া মনোভাবাপন্ন` বলতে পারছেন; তাতে এই মারপিট আরেকটু হালকা হইতে পারছে।

৪. মনে রাখা জরুরি, এই ঘটনা ৩০৩ হিজরির; শাসনক্ষমতায় তখন আব্বাসিরা। আব্বাসিদের আমলেও দামেশকে হযরত আলিরে এই পরিমাণ গালিগালাজ করা হইত, এবং তার ফজিলত নিয়া বই লেখায় একজন বড় ইমামরে গণধোলাই দিয়া হত্যা করার মতো সাহস লোকেদের হইত। বাট, এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো একশন নেওয়া হইল না। কেন? এক্ষেত্রে, সাহাবাদের গালাগালির যুক্তিটা ব্যবহার করা হইত নিঃসন্দেহে, বাট একইসাথে হযরত আলিরেও গালি দেওয়া হইত। সম্ভবত `শিয়া মনোভবাপন্ন` ট্যাগ দিয়াই, হত্যাকারীরা ইমামরে ধর্মীয় সমাজের চোখে ছোট দেখাইতে পারছিল; এবং এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপও এড়াইতে পারছিল।

৫. কারা খুন করছিল আসলে ইমামরে? তারা কি নাসেবি ছিল, নাকি সাধারণ সুন্নি জনতাই? এই কাজ যারা করছিল, ইতিহাসে তাদের `উত্তেজিত জনতা` হিশাবে চিত্রিত কইরা, নিন্দা করা হইলেও, ওই সময় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো একশনে যায় নাই। দামেশক বা অন্যান্য এলাকার ওলামাদের তেমন কোনো ইমিডিয়েট বক্তব্যও পাওয়া যায় না এই খুনের ব্যাপারে। এর কারণ কী? আমার বন্ধু ও ছোট ভাই আহসান জাইফ বেশ ইম্পর্ট্যান্ট একটা অবজার্ভেশন দিছেন এই ব্যাপারে। তার ভাষ্যমতে:

‘আমার মতে, নাসেবি নামক ফিরকা আসলে সুপ্রতিষ্ঠিত ফিরকা হিশেবে পাওয়া যায় না। বরং ঐতিহাসিকভাবে কিছু সময়ের জন্য আহলুস সুন্নাহরই একটা অংশ নাসেবি চিন্তা প্রতিপালন করতো। বিভিন্ন সময়ে আহলুস সুন্নাহর পরিচিতি কি হবে, কাদের ধর্তব্য করা হবে, কারা হবে না এই নিয়ে ঐতিহাসিক বিবর্তণের এটাও একটি অংশ বলে মনে হয়। মজার ব্যাপার দেখুন, ইমাম নাসায়ীকে যখন তাশাইয়ুর অভিযোগে হত্যা করা হয়, তখন কিন্তু উমাইয়া খিলাফত ছিল না, মূলত হত্যাকারীরা ছিল আম সুন্নিরাই। তাদের ফিকরে অলরেডি নাসেবিয়াত গালেব হয়ে গিয়েছিল। নাসেবী মব তাই আহলুস সুন্নাহর ভিতরেই কোণাচিপায় অবস্থান করতো।’

অর্থাৎ, নাসেবি বলতে আলাদা কোনো ফেরকা থাকলেও, সেটা অত প্রতিষ্ঠিত, চিহ্নিত বা খুব আলাদা কোনো ফেরকা ছিল না। বরং, বিভিন্ন সময়ে সুন্নি জনতার একটা অংশই নাসেবি হয়ে উঠছে। সুন্নিয়্যতের সংজ্ঞা নির্ধারণ, আকিদাগত বাড়াবাড়ি ও `শিয়া ঠেকানো` কার্যক্রম সমাজে ধর্মীয়ভাবে প্রবল হয়ে উঠছে, আর এসবের সুযোগেই নাসেবি সুন্নিরা এ ধরনের জুলুম করার সুযোগ পাইছে। আর জুলুম চলছে যেহেতু আকিদার নামে, ফলে স্টেটও কোন ইন্টারভেন করে নাই, বা করতে সাহস করে নাই।

হযরত আলির প্রশংসায় বই লেখাও কত মুশকিল ছিল একসময়। আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ ও আহলে বাইতের উপর শান্তি বর্ষণ করেন। আমাদের আহলে বাইতের সাথে রাখেন। ইমাম নাসায়িরে ক্ষমা করেন, তার শাহাদাত কবুল করেন (দারা কুতনিসহ বড় বড় অনেক ইমামই তারে `শহিদ` বলছেন)। নাসেবিয়াত, সহি আকিদা, শিয়াইজম বা অন্য যেকোনো নামে, জুলুম থেকে আমাদের মুক্ত রাখেন। আমিন।

লেখক: কবি  ও প্রাবন্ধিক