দার্জিলিংয়ে ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসে নিহত ১৪

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ০৫, ২০২৫

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে টানা ভারি বৃষ্টিতে দার্জিলিংয়ে ভূমিধসে ১৪ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছে, দার্জিলিং জেলার মিরিক ও সুখিয়াপোখরিতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দার্জিলিং জেলা পুলিশের উদ্ধার অভিযান চলছে। ভারি বর্ষণের ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দার্জিলিং-শিলিগুড়ি প্রধান সড়কও বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ও কোচবিহারেও ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) শনিবার রাত ১২টা ৪০ ও ৩টা ৪০ মিনিটে সিকিমের ৬টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করে।

এতে মাঝারি বজ্রসহ বৃষ্টি ও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার আশঙ্কা জানানো হয়। পরে সকালে এই সতর্কতা কমিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়।

ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল টাইগার হিল ও রক গার্ডেনসহ সব দর্শনীয় স্থান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন সার্ভিসও স্থগিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং আবহাওয়া ও সড়ক পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য নজরে রাখতে পরামর্শ দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, “উত্তরবঙ্গে লাগাতার ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও কুরসিয়ং অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। শিলিগুড়ি, তরাই ও ডুয়ার্সের সঙ্গেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।”

তিনি দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে লেখেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য, পানি, ওষুধ ও অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা জরুরি। উত্তরবঙ্গের মানুষের নিরাপত্তা ও কল্যাণই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।” সূত্র: এনডিটিভি