দার্শনিক প্রবাসজীবন চৌধুরীর আজ মৃত্যুদিন

দার্শনিক প্রবাসজীবন চৌধুরীর আজ মৃত্যুদিন। ১৯৬১ সালের ৪ মে ৯৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। ১৯১৬ সালের ১৩ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সাঁতরাগাছিতে তার জন্ম।। পিতা ডা. এম এল চৌধুরী।

১৯৩৯ সালে প্রবাসজীবন পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় এমএসসি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩ সালে ইংরেজি সাহিত্যে ও ১৯৪৪ সালে দর্শন শাস্ত্রে কৃতিত্বের সাথে এমএ পাশ করেন।

১৯৪৬ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি, স্যার আশুতোষ সুবর্ণপদক, গ্রিফিথ পুরস্কার, মোয়াট পদক ও ডিফিল উপাধি লাভ করেন।

১৯৪৪ সালে শিলংয়ের সেন্ট অ্যান্টনি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পাঞ্জাবের একটি কলেজেও কিছু দিন পড়ান। পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে পদার্থবিদ্যা, দর্শন ও ইংরেজি সাহিত্য পড়ান।

১৯৫৩ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে দর্শন বিভাগের প্রধানরূপে নিযুক্ত হন। ১৯৫৯-৬০ সালে তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের `ভিজিটিং ফেলো` এবং দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শক অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেন।

১৯৬০ সালে এথেন্স শহরে অনুষ্ঠিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক সৌন্দর্যতত্ত্ব (এসথেটিক্স) কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কৃতবিদ্যা প্রবাসজীবন বিজ্ঞান ও দর্শনের মধ্যে একটা যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন।

তার দর্শন, বিজ্ঞান ও সৌন্দর্যতত্ত্ব বিষয়ক প্রবন্ধাবলি দেশ-বিদেশের বহু বিখ্যাত পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ সালে তার রবীন্দ্রচর্চা সম্বন্ধীয় ইংরাজীতে রচিত Tagore on Literature and Aesthetics (সাহিত্য ও নান্দনিকতায় ঠাকুর) গ্রন্থটির জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।

প্রবাসজীবন চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো, সৌন্দর্য দর্শন, ঈশ্বর সন্ধানে, জীবন মাধুরী, Elements of Scientific Philosophy (বৈজ্ঞানিক দর্শনের উপাদান), The World As I See it`s (আমার দেখায় পৃথিবী), Vedanta As a Scientific Philosophy(বৈজ্ঞানিক দর্শন হিসাবে বৈদন্ত), Science And Humanity (বিজ্ঞান ও মানবতা), The Aesthetic Attitude in Indian Aesthetics(ভারতীয় নান্দনিকতার নান্দনিক মনোভাব), Philosophy of Science (বিজ্ঞানের দর্শন) এবং Tagore on Literature and Aesthetics (সাহিত্য ও নান্দনিকতায় ঠাকুর)।