নিজ পুত্রের শুক্রাণুতে মা হলেন স্প্যানিস অভিনেত্রী

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : এপ্রিল ০৮, ২০২৩

নিজের মৃত পুত্রের শুক্রাণু ও নিজের ডিম্বাণু দিয়ে গঠিত ভ্রুণ আরেক নারীর গর্ভে রেখে মা হলেন স্প্যানিশ অভিনেত্রী আনা ওবরেগন (৬৮)।

 

এপ্রিলের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোলা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত আনা ওবরেগনের এক সাক্ষাৎকারে পুরো বিষয়টি উঠে আসে। সেই সাক্ষাৎকারে আনা ওবরেগন বলেন, ‘২০২০ সালে ২৭ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার ছেলে অ্যালেস। ছেলের জীবনের শেষ ইচ্ছা ছিল সন্তানের বাবা হওয়া।’

 

সাক্ষাৎকারে তিনি বর্ণনা করেছেন, কীভাবে অ্যালেসের শুক্রাণু ব্যবহার করে সারোগেসি (এক নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতি) পদ্ধতিতে মা হয়েছেন আনা ওবরেগন।

 

বিষয়টি সামনে আসার পর লেট্রাস ম্যাগাজিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাসকারী কিউবান বংশোদ্ভূত এক নারীর ছবি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ করে। ওই নারীই ছিলেন অ্যালেস–ওবরেগনের সন্তানের সারোগেট মাদার। অর্থাৎ সন্তান নিতে ওই নারীর গর্ভ ভাড়া নিয়েছিলেন ওবরেগন।

 

সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের এ ঘটনা সামনে আসার পর এই পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্পেনে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সারোগেসির আইনি ও নৈতিক দিক নিয়ে চলছে বিতর্ক। কারণ, স্পেনে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নেওয়া আইনিভাবে স্বীকৃত নয়।

 

হোলা ম্যাগাজিনকে আনা ওবরেগন বলেন, “এই মেয়েটি আমার মেয়ে নয়, আমার নাতনি। সে অ্যালেসের মেয়ে এবং সে যখন বড় হবে তখন আমি তাকে বলব যে তার বাবা একজন নায়ক ছিলেন।”


হোলা ম্যাগাজিনকে আনা ওবরেগন বলেন, “২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে আনা স্যান্দ্রা লেকুইও ওবরেগনের জন্ম হয়। সে হিসেবে জন্মসূত্রে সে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী নাগরিক। স্পেনে যাওয়ার আগে মিয়ামিতে স্পেনের কনস্যুলেটের মাধ্যমে তাকে নথিভুক্ত করা হবে।”

 

আনা ওবরেগন আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান জন্মদান খুবই স্বাভাবিক। সেখানে স্পেনের মতো এমন বিতর্ক নেই। বিশ্বের অনেক দেশেই এই পদ্ধতি বৈধ। সারোগেসি নিয়ে বিতর্ককে অযৌক্তিক।”

 

আনা ওবরেগন বলেন, “তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ওই সন্তানের স্বীকৃত মা। আর স্পেনে সারোগেসি অবৈধ হলেও অন্য দেশে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশু দত্তক নেওয়া বৈধ।” সূত্র: সিএনএন