নিতির গল্প

উপন্যাস ১৬

অমিত কুমার কুণ্ডু

প্রকাশিত : মে ১২, ২০২০

তিন দিন হলো, দীপের বাসায় এসেছে নিতি। ঘর সংলগ্ন বারান্দায় দাঁড়িয়ে সে কথাই ভাবছিল সে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। পার্কের লাইটগুলো জ্বলে উঠেছে। মসজিদের মুসল্লিরা মাগরিবের নামাজ আদায় করে যার যার বাড়ি ফিরছে। নিতি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। উদাস দৃষ্টিতে রাতের আকাশ দেখছে।

দীপ তার ঘরে। দীর্ঘক্ষণ ফেসবুক ওপেন করেনি। গতকালের পর এই করল। নোটিফিকেশনে নিতির পোস্টের ট্যাগ। নিতি দীপের সম্পূর্ণ বিপরীত স্টাটাস দিয়েছে। একজনের যুক্তি আরেকজন খণ্ডন করেছে। মুখে কিছুই বলছে না। যা বলার ফেসবুক পেজে বলছে। নিতি বিবাহের পক্ষে বলেছে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে সমাজবিরুদ্ধ বলেছে। সংস্কার বিরুদ্ধ বলেছে। দীপ সেই বিবাহ প্রথাকেই অস্বীকার করে লিখতে শুরু করল:

বিবাহ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে। যে মেয়ের উপযুক্ত সময়ে বিয়ে হয় না, তাকে সমাজের মোটা মোটা চোখগুলো তীর্যক দৃষ্টিতে দেখে। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তার এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। আজও একা থাকা একজন মেয়ের পক্ষে শুধু কষ্টকরই নয়, বরং প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। কানা হোক, খোঁড়া হোক, বেকার হোক, ভেগাবণ্ড হোক, বর একটা জুটাতেই হবে। যার বর জুটছে না, অথবা যার এই মুহূর্তে বর নেই, তারও সমাজের নানা যাতনা ভোগ করতে হয়। একা মেয়েকে বাড়িঅলা বাড়ি ভাড়া দিতে চায় না। একা মেয়েকে পরিবার থেকে ট্যুরে যেতে দিতে চায় না। একা মেয়ের অনেক ঝক্কি।

শুধু অনূঢ়া কন্যা নয়, বিপত্নীক বা ডিভোর্সি মেয়েদের যাতনাও কম নয়। যাদের এই দশা হয়, তারা যেন সমাজের সকলের হয়ে যায়। নানা ছুতোয়, নানা অজুহাতে সমাজের দুষ্টু হাতগুলো তাদের ছুঁতে চায়। তাদের নিঃসঙ্গ শরীরের স্বাদ নিতে চায়। এই জংধরা সমাজের মুখোশের আড়ালের নোংরা মুখগুলো সবার আগে সেইসব একা হয়ে যাওয়া মেয়েরাই দেখতে পায়। এর থেকে পরিত্রাণ এই আধুনিক সমাজের কোন বাঙালি মেয়েই পাচ্ছে না। যে মেয়ে প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে, কারণে অকারণে সমাজের বাধা পাওয়া মুখগুলো সরব হয়ে ওঠে। সেসব মেয়েদের নিয়ে রসালো গল্প রটায়। এই মিথ্যা রটনার তপ্ত আঁচ, ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সেসব মেয়েদের গায়ে লাগে। তাদের মনঃপীড়ার কারণ হয়।

যেসব নারী এগুলো দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে, তারা আধুনিক সমাজের অদৃশ্য হেরেমখানার বাসিন্দা হয়ে যায়। যারা জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে চায়, তাদেরও যাতনার শেষ নেই। আমৃত্যু পিছু হেটে চলে পুরানো জীবনের ভাঙাচোরা গল্প। তবে কি এর থেকে মুক্তির কোনও উপায় নেই। আছে, মুক্তি আছে। মুক্তি আসবে বিবাহ নামক এই জগদ্দল পাথরের হাত থেকে সমাজের মুক্তি হলে। বিয়ে খুব বেশিদিন আগে সৃষ্টি হয়নি। নারীকে আজীবনের দাসত্ব শৃঙ্খলে বাঁধা রাখতেই বিয়ের উৎপত্তি। প্রাচীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উৎপত্তির সময়ে এই প্রথা প্রবর্তিত হয়। যখন পুরুষ নারীকে সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা শুরু করে, যখন পুরুষ নারীকে ভোগ্যবস্তু হিসেবে ভাবতে থাকে, তখন এই প্রথার উৎপত্তি।

যখন পুরুষ নারীর কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে, ক্ষমতার অধীশ্বর হয়ে ওঠে। তখন নারীদেরকে বন্দি করা শুরু করে। কিন্তু বন্দি নারীর শরীর হয়তো ভোগ করা যায়, কিন্তু মন, তার নাগালতো পাওয়া যায় না। তখন পুরুষের অনুর্বর মস্তিষ্ক থেকে একটা ভনিতার ভাবনা এলো। সেই ভনিতার নাম বিবাহ। ক্রমে নারীর মন থেকে স্বাভাবিক স্বাধীনতার বোধ লুপ্ত হলো। তারা পুরুষের সেবাদাসী হয়ে নিজেদেরকে ধন্য মনে করতে লাগল। যে পুরুষ যত বেশি নারীকে নিজের আয়ত্বে আনতে পারল, সে হয়ে উঠল ততই ক্ষমতাধর। পুত্র-কন্যা-জামাতা-পৌত্র পরিবেষ্টিত হয়ে সে হয়ে উঠল বড় গোষ্ঠিপতি। তখন তার ক্ষমতা হয়ে উঠল অসীম। ক্রমে সেই গোষ্ঠীপতিদের মধ্য থেকে সর্বাধিক পেশিবহুল, সর্বাধিক বাহুবলের অধিকারী নিজেকে রাজা ঘোষণা করল।

অন্য গোষ্ঠীপতিরা নিজেদের সুন্দরী কন্যাগুলোকে সেই রাজার রাজসেবায় নিয়জিত করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠল। যার নাম দেয়া হলো সন্ধি। আর সেই মেয়েগুলো হয়ে উঠল রানি। যে রাজার যত ক্ষমতাশালী তার রানির সংখ্যা ততই বেশি। রাজা, তথা রাজপুরুষেরা শুধু রানিতেই তৃপ্ত থাকতেন না। তাদের দরকার হতো দাসী। তাদের দরকার হতো হেরেমখানা। তাদের দরকার হতো শতপুত্রের। এই সব বিবাহ, এই সব সামাজিক নিয়ম, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সৃষ্টি। পুরুষের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য সৃষ্ট। পুরুষের সীমাহীন লালসা পরিতৃপ্ত করবার জন্য সৃষ্ট। এই নোংরা ভোগবিলাসের বৈধ সামাজিক নাম বিবাহ। একটি মেয়েকে আজীবনের জন্য ভোগের বস্তু করে তোলার ছল। এই একবিংশ সমাজে সবার আগে প্রয়োজন বিবাহ নামক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের অবসান।

যদি এটা হয় তবে মুক্তি হবে মানবজাতির। নারী-পুরুষ উভয়ই মুক্ত হবে। স্বাধীন হবে। এখন মানুষের স্বাধীনতা বড় বেশি দরকার। বিবাহ নামক বন্ধনের আড়ালে নারী, পুরুষের ও পুরুষ, নারীর দাশে রূপান্তরিত হয়। দাশ প্রথা রহিত হয়েছে গত শতাব্দীতে। এ শতাব্দীতে হোক বিবাহ নামক দাসত্বের অবসান। দীপের মনে যত অভিমান জমেছিল, সব অক্ষর হয়ে ফেসবুকের পেজে জ্বলজ্বল করছে। দীপের সমস্ত মন জুড়ে নিতি, কিন্তু নিতিকে সে নিজের করে পাচ্ছে না। এই বোবা অসহায়ত্ব দীপকে ভেঙেচুরে চুরমার করে দিচ্ছে। দীপের মনের উপর, নিজের ভালোবাসার বিশ্বাসের উপর কড়া আঘাত করছে। সম্পর্কের মূল্য ফুরিয়ে আসছে। নিতিকে নিয়ে, নিতির ভালোবাসা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে।

দীপ নিতির কথা ভাবছে। এমন সময় ম্যাসেঞ্জারের একটা ম্যাসেজ দীপের মোবাইল স্কিনে ভেসে উঠল। রিমির ম্যাসেজ। ওর নামটা মোবাইল স্কিনে জ্বলজ্বল করছে। দীপের বুকটা কেঁপে উঠল। দীপ ম্যাসেজটা ওপেন করল। রিমি লিখেছে, কেমন আছো? কাল নক করলাম, কোনও উত্তর দিলে না যে?

দীপের মন হঠাৎ তিন চার বছর পেছনে চলে গেল। রিমির কথা একে একে মনে পড়তে থাকল। হ্যাঁ, রিমি। দীপের প্রথম ভালোলাগা। প্রথম অনুভূতি। দীপ রিমির ম্যাসেজ পেয়ে যতটা না খুশি হয়েছে, তার থেকে অবাক হয়েছে বেশি। দীপের ভ্রু কুঁচকে গেল। কাঁপা কাঁপা হাতে লিখল, ভালো আছি। তুমি কেমন আছ? এত বছর পর!

রিমি লিখল, ভালো আছি। তারপর লিখল, আচ্ছা তোমার কাছে একটা প্রশ্ন করব?
কি?
মানুষের ইচ্ছা পূরণ হওয়া কি সুখের?
দেখ রিমি, মানুষের ইচ্ছা পূরণ হওয়ার মতো বিড়ম্বনা আর কিছুতেই নেই। তবুও মানুষ নিজের ইচ্ছা পূরণের জন্য কত সংগ্রামই না করে যাচ্ছে নিত্যদিন।
সত্যি বলছ? ইচ্ছা পূরণ হওয়ার মতো বিড়ম্বনা আর কিছুতেই নেই?
হ্যাঁ, একথা সত্যি রিমি। কিন্তু হঠাৎ একথা জানতে চাচ্ছ যে?
এমনি?
এমনি! আচ্ছা বেশ। তবে এমনিই হোক।
দীপ একটা কথা...
কি?
আমাকে তোমার সত্যি সত্যিই কি ভালো লাগত?
স‌ত্যিই ভা‌লো লাগ‌ত। কত রক‌মের যে ভা‌লোলাগা!
ভা‌লোলাগা কি ভা‌লোবাসারই মতো নয়?
হয়তো ভালোবাসার মতো, হয়তো নয়।
দীপ, ছোটবেলায় আমা‌দের পা‌শের বা‌ড়ি একটা ছে‌লে ছি‌ল। ও আমা‌কে পছন্দ কর‌ত। খুব বুঝ‌তে পারতাম। কিন্তু ওর সা‌থে সবসময় মারামা‌রি করতাম। অথচ ও কোনোনদিন আমা‌কে মা‌রে‌নি। ও শুধু আমা‌দের বাড়ি এসে না‌লিশ করত‌ো। ওকে আমি কখ‌নো সু‌যোগ দিইনি কিছু বলার। আমার বি‌য়ের সময় ও বি‌দেশ ছি‌ল। আর ওর ফ্যামেলি খুলনাতে চ‌লে গি‌য়ে‌ছিল। ছোট‌বেলা থে‌কে একসা‌থে ক্লাস নাইন পযর্ন্ত ও আমা‌দের পা‌শের বা‌ড়ি ছিল। তারপর তোমার সাথে আমার পরিচয়।‌ বি‌দেশ থে‌কে যশোর আসার একদিন পর ও আমা‌দের বাসায় এসেছিল। তখন আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে। বাড়িতে আমা‌কে পে‌য়ে গেল। আমার দিকে তাকিয়ে বল‌ল, কি‌রে, তুই তো সেই বি‌য়ে কর‌লি? তবে... অনেকদিন প‌র তোমার সাথে কথা হওয়ায়, ওর কথাও ম‌নে পড়ল, তাই বললাম।

দীপ রিমির মনের ব্যথা বুঝতে পারছে। ওর বিয়েটা মনের বিরুদ্ধে ছিল। ও চাইনি। তারপর বিয়েটা সুখেরও হলো না। এখন বড্ড একা রিমি। পুরাতন সম্পর্কগুলোকে তাই বেশি করে মনে পড়ছে। দীপ বলল, কিরে তুই তো সেই বিয়ে করলি? এই সামান্য একটু কথার মাঝে কত যে না বলা কথা আছে, কত যে বেদনা আছে! হায়, আমরা কয়জনই বা মনের মতো মানুষ পাই?

হুম, ‌কিন্তু ও যখন ক‌লে‌জে উঠল, ওর একটা মে‌য়ের সা‌থে সম্পর্ক হ‌য়ে‌ছিল। মে‌য়েটা ওক‌ে অফার ক‌রে‌ছিল। যখন সর্ম্পক কর‌ে‌ছিল তখন ব‌লে‌নি, যখন মে‌য়েটা ওকে ছে‌ড়ে গি‌য়ে‌ছিল তখন আমায় এসে বলল। আমি তখন তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। হা হা হা...

দীপ লজ্জা পেল। সেটা রিমিকে বুঝতে দিল না। নিজেকে সামলে নিয়ে লিখল- রিমি, আমরা অনেক সময় ম‌নের মত‌ো মোনুষ পাই না। কিন্তু ম‌নের মানুষ‌টি যে আমা‌দের ম‌নের ভিত‌রেই আছে! সেকথা কি আমরা বুঝ‌তে পা‌রি?

রিমি লিখল, পারি, মন থেকে যাকে চাওয়া হয়, সে মনেই থেকে যায়। পালায় না। মন থেকে ভালোবাসা-ভালোলাগা কিছুই দূর হয় না। যেমন এত কিছুর পরও তোমাকে নক করছি। হি হি হি...
তা ঠিকই ব‌লে‌ছ।
হ্যাঁ। ‌কিন্তু প্রকা‌শে ক‌ি তা‌কে আমরা হারাই না?
দেখ রিমি, অনেক সময় আমাদের সামাজিক বাস্তবতা অনেক কথা বলতে বাধা দেয়। আবার অনেক সময় প্রকাশে বাধা আসে। কিছু প্রেম মনেই থাকে। মুখে আর বলা হয় না। যেমন তোমার কৈশোরের প্রেমটা, হো হো হো...
‌ঠিক ব‌লে‌ছ। আচ্ছা ভা‌লোবাসা কিভাবে আসে বলে তোমার মনে হয়?
ভালোলাগা থেকেই ভালোবাসা আসে। তবে যা ক্ষণিকের তা ভালোলাগা, যা চিরকালের তা ভালোবাসা।
জান‌তে পে‌রে খু‌শি হলাম। সব কথা আমি বুঝ‌তে পা‌রি না।

এমন বললে কষ্ট হয় রিমি। আমি কি সব জানি নাকি? আমার থেকে অনেক বুদ্ধিমতি তুমি। আর একটি বিষয়, যাকে ভালোবাসা যায়, তার জন্য অনেক ত্যাগ, অনেক স্যাকরিফাইস করা যায়। এটাই হয়তো সংসা‌রের নিয়ম।
হয়তো, তবে বেশিরভাগ মানুষ এসব ভাবে না দীপ।
না ভাবুক, তবুও ভালোলাগা থেকেই বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্ব গভীর হলে ভালোবাসা হয়। ভালোবাসা কখনো কখনো প্রেমে রূপান্তরিত হয়। প্রেম থেকে কামনা। কামনা চরিতার্থ হলে বিস্বাদ। বিস্বাদ থেকে বিচ্ছেদ।
বিচ্ছেদ তো ভালো না, তাই না?
রিমি, বিচ্ছেদ চিরন্তন সত্য। প্রেম থাকলে বিচ্ছেদ থাকে। যেমন জন্ম থাকলে মৃত্যু। যার সৃষ্টি আছে তার ধ্বংসও আছে। মনে প্রেমের সৃষ্টি হলে, মনেই তার ধ্বংস হয়। আমরা স্বীকার করি, আর নাইবা করি।
তবুও বিচ্ছেদ সমাজ ভালোচোখ নেয় না।
সমাজ একটা সংস্কার, স্থান কাল পাত্র ভেদে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
তবুও সমা‌জের লো‌কে‌দের ভয় পায়।
আমিও পাই রিমি। আমরা সবাই পাই। সমাজ একটা জগদ্দল পাথর। বুকের উপর চেপে বসে আছে। সবাইকে ভয় দেখায়।
বিশেষ করে মেয়েদের। ছেলেরা মানুষ, মেয়েরা শুধুই মেয়েমানুষ।
না রিমি। আসলে সবার সাহস থাকে না, যেমন আমারই নেই। তাই আমরা নিজেদের দুর্বল ভাবি। যেমন তুমি নিজেকে মেয়েমানুষ ভাবছ।
দীপ, সাহস য‌দিও বা থা‌কে, কিন্তু কৌশল আমরা জা‌নি না।
রিমি, কৌশল কিছু না, দুঃসাহসটাই আসল। বহু দিনের সংস্কারের কারণে আমরা চুপসে থাকি। মনের কথা মনেই মরে যায়, মুখ ফুটে বলার সাহস থাকে না। ভয় পায়। পাছে অনিষ্ট হয়। পরিবর্তনের ভয়ে ভীত আমরা।
হয়তো। ভালো থেক দীপ। অনেক কথা হলো।
তুমিও ভালো থেক, রিমি।
শুভরাত্রি দীপ।
শুভরাত্রি রিমি।

তিনবছর পর দুজনের কথা হলো। কিন্তু কোনও জড়তা নেই। যেন নিত্য কথা হয়। দীপ রিমির কথা ভাবছে। এমন সময় নিতি এসে ওর পাশে দাঁড়াল। দীপ নিতির মুখটা দেখে ভূত দেখার মতো করে চমকে উঠল। চলবে

১১ মে ২০২০