
পরশুরাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুলাই ২৫, ২০২৫
ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক মিল্লাত হোসেন (২১) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন মো. আফসার (৩২)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা পৌর এলাকার বাসপদুয়া সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফ দুজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে মিল্লাত ফেনী সদর হাসপাতালে মারা যান। তিনি পরশুরাম পৌর এলাকার বাসপদুয়া গ্রামের মো. ইউসুফ মিয়ার ছেলে। গুরুতর আহত আফসার একই এলাকার এরামতের ছেলে।
স্থানীয় মজনু বলেন, “রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসপদুয়া এলাকায় গুলির শব্দ শুনে আমরা ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে উদ্ধার করি।”:
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকির হোসেন মিল্লাতকে মৃত ঘোষণা করেন। মজনুকে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করেন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, নিহত মিল্লাত ও আহত আফসার মাছ ধরতে বাসপদুয়া সীমান্ত এলাকায় যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
নিহত মিল্লাতের মা পারভিন আক্তার বলেন, “আমার ছেলে মাছ ধরতে সীমান্ত এলাকায় যায়। এ সময় বিএসএফ তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে।”
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নয়নচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “গুলিবিদ্ধ দুজনকে রাত ২টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে মিল্লাত নামের একজন আগে মারা যায়। আফসার নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।”
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. নুরুল হাকিম বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে মিল্লাত ও আফসার নামে দুজন সীমান্ত এলাকায় গেলে তাদের লক্ষ্য করে ভারতীয় বিএসএফ গুলি করে। মিল্লাত নামের একজন ফেনী সদর হাসপাতালে মারা যান। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪ ব্যাটালিয়নের ফেনীস্থ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোশারফ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশি দুই যুবক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে।”