
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুলাই ০৬, ২০২৫
কাশ্মীরের পেহেলগাম ইস্যুতে সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযানে ২৫০ এর বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, ওই সংঘাতে ভারত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হলেও সরকারিভাবে সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গোপন রাখা হয়। ভারত সরকার এসব তথ্য জনসমক্ষে আনতে চায়নি। বরাবরই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অস্বীকার বা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে।
ভারত সরকার গোপনে ১০০ জনেরও বেশি নিহত সেনাকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে জনগণের নজর এড়িয়ে ভেতরে ভেতরে তাদের স্মরণ করা যায়।
সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন:
৩ জন রাফাল পাইলটসহ ৪ পাইলট।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) ৭ সদস্য।
১০ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ‘জি-টপ’ পোস্টের ৫ সেনা।
৯৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের ৯ সদস্য।
আদমপুর বিমানঘাঁটিতে নিহত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইউনিটের ৫ অপারেটর।
সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে তথ্য লুকোচুরি
সূত্রমতে, রাফাল ফাইটার জেটের ক্ষতি এবং বিভিন্ন কৌশলগত ঘাঁটি ধ্বংস হওয়া নিয়ে শুরুতে ভারত সরকার ও সেনাবাহিনী মুখ না খুললেও, পরে একাধিক উচ্চপদস্থ জেনারেল ও কূটনৈতিক কর্মকর্তা এ তথ্য স্বীকার করতে বাধ্য হন।
পরিবারগুলোর ওপর চাপ
নিহত সেনাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও সরকার চাপ সৃষ্টি করছে। যাতে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করে। পুরো পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই চেষ্টায় তথ্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কৌশল অবলম্বন করছে মোদি প্রশাসন।
সেনা ক্ষয়ক্ষতির স্বীকারোক্তি এড়িয়ে সম্মান প্রদান
পাঠানকোট ও উদমপুর বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় স্বাধীন মিডিয়া নিশ্চিত করলেও, সরকার তা অস্বীকার করে চলেছে।
পর্যবেক্ষকরা মন্তব্য করেন, ভারত সরকার এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধে পরাজয় ও তথ্য সংকট একসঙ্গে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সূত্র: সামা টিভি