পেন্টাগনের নাম বদলে ‘যুদ্ধ দপ্তর’ রাখলেন ট্রাম্প

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৫

পেন্টাগনের নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ বা যুদ্ধ দপ্তর রাখার জন্য নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি অনেক বেশি উপযুক্ত নাম। আমাদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী আছে।”

এই আদেশে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, প্রতিরক্ষা দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ‘সেক্রেটারি অব ওয়ার’, ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ ও ‘ডেপুটি সেক্রেটারি অব ওয়ার’সহ বিভিন্ন উপাধি ব্যবহার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপরই পরিবর্তন কার্যকর শুরু হয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের দপ্তরের বাইরে নামফলক বদলে যায়, আর ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্সের ওয়েবসাইট defense.gov রিডাইরেক্ট হয়ে যায় war.gov-এ, যেখানে ওপরে বড় অক্ষরে লেখা ‘ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার।’

হেগসেথ বলেন, “এটি শুধু নাম বদল নয়, বরং পুনঃপ্রতিষ্ঠা। আমরা শুধু প্রতিরক্ষায় নয়, আক্রমণেও যাবো। সেনাদের শুধু রক্ষক নয়, যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলব।”

আদেশে বলা হয়েছে, সব নির্বাহী দপ্তর ও সংস্থা অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত যোগাযোগে নতুন উপাধি ব্যবহার করবে। একইসঙ্গে হেগসেথকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তনের জন্য আইনগত ও নির্বাহী পদক্ষেপের সুপারিশ করতে।

তবে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, এ পরিবর্তন স্থায়ী করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হতে পারে। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত নই কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে কিনা। তবে আমরা সেটা জেনে নেব।”

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম শেষবার বদলানো হয় ১৯৪৯ সালে। জর্জ ওয়াশিংটনের সময় প্রথমে এর নাম ছিল ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’। পরে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান জাতীয় নিরাপত্তা আইনে স্বাক্ষর করলে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী একীভূত হয়ে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’ নাম নেয়।

পেন্টাগনের নাম পরিবর্তনের এই প্রচেষ্টা হেগসেথের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর অংশ। তিনি বাইডেন আমলে বাতিল হওয়া ‘কনফেডারেট’ যুগের ঘাঁটির নাম পুনরায় ফিরিয়ে আনেন এবং নৌবাহিনীর হার্ভি মিল্কের নামে রাখা একটি জাহাজের নামও পরিবর্তন করেন। সূত্র: সিএনএন