প্রবাসীর কাছে চাঁদা ও মোটরসাইকেল দাবি ছাত্রদল নেতার

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মে ০৪, ২০২৫

নোয়াখালীর সদরের চরমটুয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আহমদ উল্লাহ রিংকুর ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি সৌদি আরব প্রবাসী জুয়েলের কাছে চাঁদা ও মোটরসাইকেল দাবি করেছেন।

জুয়েল উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রিংকু।

অডিওতে জুয়েলকে বন্ধু সম্বোধন করে রিংকু বলেন, “বন্ধু তুই আর সাথে আওয়ামী লীগ বিএনপি মিলাইচ্ছা। টেয়া (টাকা) পঞ্চাশ হাজার হাডা (পাঠা)। সাদ্দামের থেকে টেয়া কিছু লও। তোরে আই জীবনেও কিছু করি নাই। সাদ্দামরে আই আজায়ালামু (গুম করমু)। মার্কেট আউট করি হালামু। কালকে সকালে আর সেনাবাহিনীর লগে ডিউটি আছে কলেজের সামনে। হিয়ানে যামু। আই অন ঘুম যামু। সকালে ৮টা বাজে উঠি যাইতে অইবো। চারটা ইউনিয়নের মধ্যে একটি কলেজ। ঢাকার যে সভাপতি ছাত্রদলে হিগা আরে না করলেও প্রতিদিন কল দিব একবার।”

সৌদি প্রবাসীর জুয়েল বলেন, “৬ মাস আগে জীবিকার তাগিদে সৌদিতে আসি। আমাদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদ্দাম আমার চাচা। তিনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চাচাকে এলাকা থেকে তাড়ানোর হুমকি দিয়ে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ফেসবুক মেসেঞ্জারের ভয়েস রের্কড পাঠায় রিংকু। এছাড়া আমার কাছে একটি মোটরসাইকেল দাবি করে। না হলে দেশে আসলে আমাকে মারধর করার হুমকি দেয়।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা রিংকুর মোবাইলে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

চরমটুয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান শাহীন বলেন, “এটা রিংকুর ভয়েস, এটা ঠিক। লুকানোর কিছু নেই। ভাইরাল হওয়া ভয়েস রের্কড প্রায় ১০ থেকে ১৫ জনে আমার কাছে পাঠিয়েছে। এরপর আমি রিংকুকে অনেকবার কল দিয়েছি। সে কল রিসিভ করেনি। শুক্রবার দুপুরে রিংকু ফোন রিসিভ করলে রিসিভ করলে আমি তাকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করি। জবাবে সে বলে, ‘ভাইয়া আমি এখন কি করতাম।’ এরপর সে ফোন কেটে দেয়।”

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী মো.রাসেল বলেন, “বিষয়টি জানার পর রিংকুকে আমি অনেকবার ফোন দিয়েছি। রিংকু ফোন রিসিভ করে নাই। পরে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি।”