
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে পর্তুগালের স্বীকিৃতি
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল পর্তুগাল। রোববার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে সংবাদ সম্মেলনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঞ্জেল এ স্বীকৃতি দেন।
পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়া পর্তুগিজ পররাষ্ট্র নীতির একটি মৌলিক, ধারাবাহিক ও অপরিহার্য দিক। পর্তুগাল ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ হিসেবে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে টেকসই পথ হিসেবে মনে করে।”ৎ
তিনি আরও বলেন, “গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি। হামাস গাজায় বা এর বাইরে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ রাখতে দেওয়া যাবে না। সব জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে।”
পাওলো রাঞ্জেল বলেন, “ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ এই নয় যে, গাজার মানবিক বিপর্যয় মুছে যাচ্ছে। গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ, ধ্বংসযজ্ঞ ও পশ্চিম তীরে ইজরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াও পর্তুগালের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতিকে মাইলস্টোন হিসেবে বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনি শীর্ষ নেতারা। ফাতাহের মোহাম্মদ শটাইয়ে বলেন, “এটি মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল।”
ফিলিস্তিনের আরও একজন শীর্ষ নেতা বলেন, “এটি গাজাবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা।”
ফিলিস্তিনকে পশ্চিমা দেশগুলো স্বীকৃতি দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দখলদার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনোই গঠিত হবে না।”
যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহু বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে অনেক বড় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, যা হতে দেওয়া হবে না।” সূত্র: রয়টার্স