ফ্লাইট শুরু বৃহস্পতিবার, অনিশ্চয়তায় ৭০ হাজার হজযাত্রী

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মে ০৭, ২০২৪

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট। এখনো ভিসা না পাওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার হজযাত্রী। আজ মঙ্গলবার সৌদি দূতাবাসের ভিসা দেওয়ার শেষদিন।

হজ ভিসার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল। ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিসা আবেদনের সময় ৭ মে পর্যন্ত করা হয়। ৮ দিন বাড়ানো হলেও এখনও ৭৫ শতাংশের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করেনি এজেন্সিগুলো। বাকি একদিনের মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করা কতটুকু সম্ভব, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

করণীয় ঠিক করতে সোমবার সন্ধ্যায় হজ এজেন্সিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারকে চিঠি দিতে এজেন্সিগুলো মন্ত্রণালয়কে চাপ দেয়। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজার ২০৯ নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাবে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবে ৭৮ হাজার ৮৯৫, বাকি ৪ হাজার ৩১৪ জন যাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায়।

সাতশোর বেশি হজ এজেন্সি হজযাত্রীদের নিবন্ধন করেছে। ২৫৯টি লিড এজেন্সি হজযাত্রীদের মূল ব্যবস্থাপনায় থাকবে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ৫৫টি এজেন্সির আংশিক ভিসা আবেদন হয়েছে। বাকি ২০৪টি এজেন্সি ভিসা প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি। এজেন্সিগুলোর অধীনে ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রী রয়েছে।

হাবের সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম বলেন, “হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার ভিসা সময়মতো পাওয়া যায়নি। সময়মতো পাওয়া যায়নি, এমনটিও আসলে নয়। এ বছর এই ভিসা দেওয়াই হয়নি। এই প্রতিবন্ধকতা বা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রাইভেট এজেন্সিগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।”

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বুকিং দেওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ সরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব যাচ্ছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীরা ভিসা না পাওয়ায় এজেন্সিগুলো বিমানের টিকিট কাটতে পারছে না। এজন্য বুকিংয়ের সংখ্যা বাড়ছে না। নিবন্ধন করা সব হজযাত্রীই সৌদি আরবে যেতে পারবে।

উল্লেখ্য, হজযাত্রীর জন্য বাংলাদেশ বিমানসহ তিনটি এয়ারলাইনস ৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইট যাবে ১২ জুন।