বিদেশি কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে ইজরায়েলি বাহিনীর গুলি

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে শরণার্থী শিবিরের প্রবেশপথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব ও এশীয় দেশগুলোর একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী।

বুধবার কূটনীতিকরা জেনিনের মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য সরকারি মিশনে ছিলেন। কারণ সেখানে ব্যাপক ইজরায়েলি সামরিক আক্রমণের ফলে মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।

ইজরায়েলি হামলায় গাজায় দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। ইজরায়েলি বাহিনী দাবি করেছিল ত্রাণবাহী প্রায় ১০০ ট্রাক উপত্যকায় ঢুকেছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না ত্রাণ।

পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের প্রবেশপথে একটি বিদেশি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইজরায়েলি বাহিনী। ৩৫ রাষ্ট্রদূত, কনসাল ও কূটনীতিকের প্রতিনিধিদল অবরুদ্ধ ক্যাম্পের কাছে পৌঁছালে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

এসময় কেউ হতাহত না হলেও এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইজরায়েলের গুলিবর্ষণকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ইইউ পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কলাস। এই ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গুলি ছোড়ার ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইতালিতে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জর্জিয়া মেলোনি সরকার। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে ফ্রান্স, কানাডা, জর্ডান ও তুরস্ক। যদিও ইজরায়েল বলছে, তাদের সেনারা কূটনীতিকদের সরিয়ে দিতে ফাঁকা গুলি চালিয়েছিল।

ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “যুদ্ধ শেষে পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে ইজরায়েল। শেষ পর্যন্ত গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং হামাস পরাজিত হবে।” সূত্র: আল জাজিরা