
মঙ্গলবার ইজরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ২৩
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুলাই ১৬, ২০২৫
মঙ্গলবার উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি বিমান হামলায় ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। দক্ষিণ গাজায় রাফাহর উত্তরে সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইজরায়ল-মার্কিন সমর্থিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রমের সময় হামলায় ২ নারী নিহত ও ৩০ জন আহত হয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য নিতে গিয়ে ৮৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার ১৬টি এলাকার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জাবালিয়া শহরও রয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক মোয়াজ আল-খালাউত বলেন, “গাড়ি ও গাধা নিয়ে লোকজন এলাকা ছাড়ছে। কিন্তু তাদের কোথায় যেতে হবে তা কেউ জানে না। জ্বালানির অভাবে পরিবহন সংকটও তীব্র।”
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ`র স্বাস্থ্য দল জানিয়েছে, ৪ মাস ধরে ইজরায়েলের কঠোর অবরোধের পর গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়েছে।
সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, “২০২৪ সালের পর থেকে স্ক্রিনিং করা প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে।”
ইউএনআরডব্লিউএ বিবৃতিতে গাজায় এই অপুষ্টিকে পরিকল্পিত ও মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছে।
গাজায় মানবিক সংকট অব্যাহত থাকলে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাব্য ১০টি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
ইইউ`র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস সাংবাদিকদের বলেন, “ইজরায়েল যদি তার প্রতিশ্রুতি না রাখে তাহলে এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ স্থগিত করা ইত্যাদি। ইজরায়েলকে শাস্তি দেওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়, বরং গাজায় পরিস্থিতির উন্নতি করাই মূল উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহে ইজরায়েল গাজায় খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সীমান্ত খোলা হয়েছে, বেশি ট্রাক প্রবেশ করছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনও অসহনীয়।”
ইজরায়লের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া নিয়ে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য তৈরি হয়নি। সূত্র: আল জাজিরা