মস্কোতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, বন্ধ সব বিমানবন্দর

রাশিয়ার মস্কোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় রাত ইউক্রেনের ড্রোন হামলার শিকার হলো মস্কো। কয়েকটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসাভিয়াটসিয়া জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে মস্কোর ৪টি প্রধান বিমানবন্দর— ভনুকোভো, দোমোদেদোভো, শেরেমেতিয়েভো ও ঝুকোভস্কি অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেন, “শহরের বিভিন্ন দিক থেকে আসা অন্তত ১৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে কিছু ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ শহরের একটি প্রধান মহাসড়কে পড়েছে। যদিও এতে কেউ হতাহত হয়নি।”

ইউক্রেন এখনো মস্কোতে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের রিলস্ক শহরে ইউক্রেনের হামলায় একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এই হামলায় ২ কিশোর আহত হয়েছে এবং শহরের কিছু অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দাবি, তারা কুরস্ক অঞ্চলের তিওতকিনো গ্রামের কাছে রাশিয়ার একটি ড্রোন কমান্ড ইউনিটে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানে রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।

রাশিয়ার সামরিক ব্লগাররা জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। তারা মাইনফিল্ড অতিক্রম করে সাঁজোয়া যান নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা অবস্থানে হামলা চালায়। এই সময় রুশ বাহিনী ব্রিজ উড়িয়ে দিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে।

এই হামলার পর ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী সুমি অঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দুটি বসতি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি রাশিয়ার সম্ভাব্য পাল্টা হামলার আশঙ্কায় নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন গত বছরের আগস্টে কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে রাশিয়া পরে দাবি করে, তারা পুরো অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করেছে। যদিও ইউক্রেন দাবি করছে, তাদের সেনাবাহিনী এখনো কুরস্ক অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে। সূত্র: বিবিসি