মেলায় নতুন লেখকদের বইয়ে ছিল পাঠকের নজর

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ০২, ২০২৪

অধিবর্ষের বাড়তি পাওয়া একদিনের সঙ্গে আরও দুই দিন যোগ করে শনিবার (২ মার্চ) শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা।

এবারের মেলায় বাড়তি প্রায় তিন দিন সময় পাওয়াকে সৌভাগ্য মমনে করছেন প্রকাশক ও সংশ্লিষ্টরা। আর পুরো মেলা জুড়ে পুরনো লেখকের পাশাপাশি নতুন লেখকদেরও বই ভালো চলেছে সবলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকাশকরা বলছেন, অধিবর্ষের একদিন ও বইমেলায় আরও দুদিন পাওয়াতে বেচাবিক্রি বেশ ভালো হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক প্রকাশক কণ্ঠেই ছিল সস্তির আভাস পাওয়া যায়। তারা জানান, এবারের মেলায় পুরাতন লেখকদের পাশাপাশি নতুন লেখকদের বইও বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। গেল বছরগুলো তুলনায় এবারের বইমেলায় যে পরিমাণ বই বিক্রি হয়েছে তা নিঃসন্দেহে বাঙালির সাহিত্য সমৃদ্ধিতে শুভ সংকেত বলে মনে করছেন প্রকাশকরা।

এদিকে বইপ্রেমী বাঙালির প্রাণের বইমেলায় বিদায়ের সুর বাজছে। আজকের দিন পরেই কালকেই বইমেলার পর্দা নামছে। মেলার শেষ শুক্রবারে (১ মার্চ) ছিল পাঠক দর্শকদের ভিড়। কেউ বই কিনেছেন, কেউ ঘুরছেন কেউ আবার ব্যস্ত ছিল মেলার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ছবি তুলতে।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই মেলায় বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এদিন লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন বয়সের মানুষের হাতেই ছিল বইয়ের ব্যাগ। অন্যান্য দিনের মতো বেশি ভিড় দেখা যায় মেলার শিশু কর্নার ও স্টলগুলোতে।

১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের সামনে পাটের চটের ওপরে মাত্র ৩২টি বইয়ের পসরা সাজিয়ে স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ বইমেলার যাত্রা শুরু করে। সে সময়ে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরেই মূলত বইমেলার যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি বিশেষ ছাড়ে নিজেদের বই বিক্রির ব্যবস্থা করে। এর পাশাপাশি একাডেমির প্রাঙ্গণে বেশ কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানও ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বই বিক্রি শুরু করে।

১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনের বই প্রদর্শনী ও ম্যুরাল প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমি কেবল প্রকাশনাসংস্থাগুলোকে জায়গা বরাদ্দ দিত। আয়োজক হিসেবে তাদের অফিসিয়াল কোনো পরিচিতি ছিল না। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি সরাসরি মেলায় সম্পৃক্ত হয়।

১৯৭৯ সালে একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি। সেই থেকে শুরু করে আজ অবধি বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হচ্ছে অমর একুশে বইমেলার।

শুরুতে বইমেলা হতো ২১ দিন ধরে। ১৯৮১ সালে এটি কমিয়ে ১৪ দিনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও প্রকাশক ও পাঠকদের দাবির মুখে তা আবার ২১ দিনে ফিরিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সাল থেকে পুরো মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাঙালির প্রাণের এ মেলা।