রাফাহতে হামলা চালালে ইজরাইলকে অস্ত্র দেব না: বাইডেন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মে ০৯, ২০২৪

গাজার রাফাহতে হামলা চালালে ইজরাইলে অস্ত্র সরবরাহ করব না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

বাইডেন বলেছিলেন, “আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি, যদি তারা রাফাহতে হামলা চালায়… তবে আমি অস্ত্র সরবরাহ করছি না। হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে গাজায় টানা সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইজরায়েলকে দেওয়া মার্কিন বোমাগুলো বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে।”

বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে রাফাহ শহরে হামলার পরিকল্পনা বাতিলের জন্য ইজরায়েলকে বারবার চাপ দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। বাইডেনের সিদ্ধান্তের জবাবে জাতিসংঘে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে, এ কথা আমি বিশ্বাস করেন না।”

বাইডেনের এমন মন্তব্যের বিষয়ে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “রাফাহতে ইজরায়েলের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেখানে হাজার হাজার হামাস যোদ্ধা রয়েছে। তাদের পরাজিত করতে রাফাহ শহরে অবশ্যই আঘাত করতে হবে।”

এদিকে, দক্ষিণ গাজায় মঙ্গলবার ট্যাঙ্ক ও বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মিসরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ প্রবেশকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ পথও তারা বন্ধ করে দিয়েছে।

ইজরায়েলকে রাফাহ শহরে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে ডেমোক্র্যাটদের চাপের মধ্যে রয়েছেন বাইডেন। এছাড়া, দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসের ক্রমবর্ধমান ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ বাইডেনের জন্য এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আরও কঠিন করে তুলেছে।

ইজরায়েলের প্রতি বাইডেনের সমর্থন এখন একটি রাজনৈতিক দায় হয়ে ঠেকেছে। কেননা, আসন্ন নির্বাচনে পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বাইডেন। এখন পর্যন্ত ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এই সরবরাহ আরও বাড়িয়েছে দেশটি।

তবে বুধবার মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ইসরায়েলে বোমার চালান সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: রয়টার্স