
সংবিধানের মূলনীতি একটা অন্যটার বিরুদ্ধে: শিবির সভাপতি
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ১৬, ২০২৫
সংবিধানের মূলনীতি একটা অন্যটার বিরুদ্ধে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে ‘শিক্ষা সংস্কার প্রেক্ষিত: জুলাই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন’ শীর্ষক শিক্ষা সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সংবিধানে যেসব মূলনীতির কথা বলা হয়েছে সেগুলো একটা অন্যটার বিরুদ্ধে অবস্থান করে। সেই মূলনীতি নিয়ে সম্মিলিত কোনো জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব নয়। এরই মধ্যে আমরা ৩০ দফা শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। আশা করি এসব প্রস্তাবনার মধ্যে দিয়ে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার ওপরেই একটি জাতির আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য ইংরেজরা শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার পর আমাদের জন্য একটি কেরানির চাকরিও পাওয়া কষ্টকর। তাদের কাছ থেকে ৪৭ সালে মুক্তি হওয়ার পরেও পাকিস্তান আমলে শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি।”
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসসনামলেও শিক্ষাব্যবস্থার নামে এমন জিনিস শেখানো হয়েছে, যেটি আমাদের জাতিসত্তার সাথে যায় না। সেই জায়গা থেকে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা হলো, এমন একটি সমাজ যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা থাকবে। শহিদ আব্দুল মালেক ভাইয়ের শিক্ষা ও আদর্শ নিয়ে আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। যিনি ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শহিদ হয়েছিলেন।”
মানারত ইন্ট্যারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হবে এমন একটি জায়গা যেখানে জ্ঞানের মুক্তি থাকবে। যেখানে সবাই মুক্তভাবে জ্ঞানের কথা বলবে, চর্চা করবে কিন্তু কোনো বাঁধা থাকবে না। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের প্রতিশোধের রাজনীতি চলবে না। আগামী দিনের রাজনীতি হবে সহাবস্থানের রাজনীতি।”
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. হাফিজুর রহমান। এসময় ছাত্রশিবিরের শহিদ আব্দুল মালেকের লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু শফিকুল ইসলাম মাসুদ, শিবির ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ, প্রচার সম্পাদক মু. সাজ্জাদ হোসাইন খাঁন প্রমুখ।