সঙ্গীতজ্ঞ এ আর রহমানের আজ জন্মদিন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
সঙ্গীতজ্ঞ এ আর রহমানের আজ জন্মদিন। ১৯৬৬ সালের ৬ জানুয়ারি চেন্নাইয়ে তার জন্ম। পারিবারিক নাম ছিল এএস দিলীপ কুমার। ধর্মান্তরের পর তার নাম রাখা হয় আল্লাহ রাখা রহমান, যা সংক্ষেপে এ আর রহমান।
অস্কারজয়ী এই শিল্পীর সাফল্যের পিছনে রয়েছে বড় লড়াই। একটা সময়ে বহু স্ট্রাগল করে তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন এবং `দ্য মোৎসার্ট অফ মাদ্রাজ` নামে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তবে সঙ্গীতের পাশাপাশি ইসলাম সম্পর্কে তার মনোভাব ও মতামতও বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে।
এ আর রহমানের বায়োগ্রাফি `নোটস অফ এ ড্রিম` থেকে জানা যায়, প্রথম ছবি রোজা মুক্তি পাওয়ার ঠিক আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। সেই সময়ে তার মা করিমা বেগম অনুরোধ করেন, ছবির ক্রেডিটে যেন ছেলের নতুন নামটাই থাকে। একেবারে শেষ পর্যায় তখন ছবির কাজ। তাই নাম বদলানোও বেশ সমস্যার ছিল।
কিন্তু এ আর রহমানের মার দাবি ছিল, দরকার পড়লে নাম দিতে হবে না। কিন্তু নাম দেওয়া হলে, যেন নতুনটাই রাখা হয় ক্রেডিটে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও, তিনি নিজের মতামত অন্য কারও উপরে কখনও চাপিয়ে দেননি। একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কারোর ওপর কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। ইতিহাস আপনার একঘেঁয়ে লাগে বলে, আপনি সন্তানকে অর্থনীতি নিয়ে পড়ার জন্য জোর করতে পারেন না। এটা ব্যক্তিগত পছন্দ।
রহমান বলেছিলেন, অনেকেই তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে কি তারা সাফল্য পেয়েছেন? এ বিষয়ে আমি বলব, বিষয়টা ধর্ম পরিবর্তনের নয়। নিজের অন্তরাত্মাকে খুঁজে পাওয়াটাই মূল। ধর্মগুরু, সুফিগুরুরা আমাকে আর আমার মাকে যা শিখিয়েছেন সেগুলি খুব স্পেশাল। প্রতিটা বিশ্বাসে একটা করে বিশেষ বিষয় থাকে। আমরা এটাকেই বেছে নিয়েছি। যার যে বিশ্বাসই থাকুক, প্রার্থনা করলে মনের শান্তি মেলে।
রহমানের মেয়ে খাতিজা একটি ইভেন্টে বোরখা পরার জন্য নেটদুনিয়ায় সমালোচিত হয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তখন রহমান বলেছিলেন, পুরুষদের জন্য বোরখা নয়। নাহলে আমিও বোরখা পরতাম সম্ভব হলে। আমার মনে হয়, খাতিজা নিজের মতো করে স্বাধীন। আমাদের বাড়ির পরিচারিকার মায়ের মৃত্যু হলে তার শেষকৃত্যে ও যায়। ওর এই সারল্য ও সামাজিকতা আমি ভালোবাসি।
ব্যক্তি জীবনে, তার সহধর্মিনীর নাম সায়রা বানু। এই দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন সন্তান: খাদিজা, রহিমা ও আমান।
























