সঙ্গীতা দাশের কবিতা ‘ঝরা দেবদারু’
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এক.
এখন অপেক্ষা, তুমি বেরিয়ে আসবে।
আশাবাদী মানুষ বলে চলে,
অপেক্ষা করো, অপেক্ষার ফল সুমিষ্ট।
প্রচ্ছন্ন থাকো রাতের গায়ে।
আমি তো সেদিনই জেনেছি
মায়া ছিঁড়ে গেছে তোমার
ধীরে আমাকেও ছিঁড়ে যাবে তুমি।
জল আঁকড়ে ধরার
অন্ধ স্মৃতি থাকবে তোমার?
আমি মনে রাখবো দুইমাসের গর্ভ-আলো, ঝড়?
দুই.
শেষ হয়ে আসে হারানোর ব্যথা...
তবু শরীরে এখনো খবর আসেনি
তোমার ছিঁড়ে পড়ার...
এখনো সে রক্ত পাঠায়
আর ঝরে যায় অপচিত...
দুর্বোধ্য কোনো রহস্যে।
রসে গাঢ় হয় দুটি আধো চাঁদ... গ্রহণের অতীত।
অপেক্ষা...
কবে একদিন সংকেত পাবে সে
শেষ হবে চক্র, এবারের মতো শূন্য আয়োজন।
তিন.
একটা তুলোর দলা পিছলে পড়ল হাতের উপর।
দু’ফোঁটা বাদামি রক্ত চেপে আছে গাঢ়,
গাঢ়তর হলো বেদনার ফল।
শরীরে ক্ষত দিলে না কোনো, নীরবচারী
ঝরে গেলে অসীমে,
আমার দেবদারু।
তোমায় তবে মিশে যেতে দিই মৃত্তিকায়।
অনন্ত হাওয়ায় ছড়িয়ে দিও সম্ভবনা।
আর একটি ধূলিকণা, তারার,
বুনে দিও শরীরে।
বেদনা দিও।